Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই এখনই! স্বস্তি মিলবে কবে? কী  বলছে হাওয়া অফিস?

0 33

অবশেষে স্বস্তির দিন ফিরতে চলেছে বঙ্গে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করল বহুল প্রতীক্ষিত বর্ষা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। গত কাল যদিও হাওয়া অফিস জানিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে আরও ২-৩ দিন লাগবে, কিন্তু শুক্রবারেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে আজ জানিয়েছে মৌসম ভবন।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব একটা নেই। শুক্রবার কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও শনিবার থেকে কমবে বর্ষণের পরিমাণ।

মে মাসে শেষ দিনেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল মৌসুমি বায়ু। যার জেরে টানা বৃষ্টি চলছে সিকিম সহ গোটা প্রায় উত্তরবঙ্গেই। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়। তখন প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গেও এইবার সময়ের পূর্বে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। উত্তরেই আটকে যায় দক্ষিন-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। সময়ের আগে তো দূর বরং নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে আরও ১১ দিন অর দক্ষিণবঙ্গে পা রাখল বর্ষা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু খানিকটা এগিয়েছিল উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার উত্তরের বাকি জায়গার পর দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশেও প্রবেশ করেছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তার জেরেই বর্ষার আগমন দক্ষিণবঙ্গে।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সব জেলার পর দক্ষিণে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, কলকাতায় প্রবেশ করেছে বর্ষা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদের বেশির ভাগ অংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলার কিছু অংশেও পা রেখেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।

এদিকে একনাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। ঘরছাড়া তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা, ঘরবাড়ি। বৃষ্টির সঙ্গেই দোসর হয়ে বিপদ বাড়িয়েছে ভূমি ধস। কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের জনজীবন। উদ্ধার কার্যে নামতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আবারও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে রবিবারের অবধি উত্তরে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমলেও কমতে পারে।

শুক্রবার আবহাওয়া দফতর বলে পশ্চিমে রাজস্থান থেকে পূর্বে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। সেই অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরবঙ্গ, বাংলাদেশ, অসম, মেঘালয়ের উপর দিয়ে বিস্তৃত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে সেটি। অন্য দিকে, পূর্ব বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের উপর বিস্তৃত রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই দুইয়ের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত কমতে পারে বৃষ্টি।কিন্তু তারপর আবার বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ।

জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে রবিবার অবধি হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। আগামী সোম এবং মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে কমলা সতর্কতা  জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর দিনাজপুর, কালিম্পঙেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরে বৃষ্টি নিয়ে সতর্কতা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমতে পারে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। তাই বর্ষা ঢুকলেও এখনই গরম থেকে মুক্তি মিলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.