ধ্যানে বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে চপারে কন্যাকুমারী পৌঁছন মোদী

0 30

কন্যাকুমারীতে মোদীর ধ্যান টিভিতে সম্প্রচার করা বন্ধ হোক, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ সিপিএম, কংগ্রেসের। সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ধ্যানে বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে চপারে কন্যাকুমারী পৌঁছন মোদী।
২০১৪ সাল, মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড়ে ধ্যান
২০১৯ সাল, কেদারনাথে গুহার মধ্যে ধ্যান
২০২৪ সাল, কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যান

ভোটের প্রচার পর্ব মিটতেই বিগত বিছরগুলির মত এবারও ধ্যানে মোদী। এবার তামিলনাডুর কন্যাকুমারীতে ধ্যান। কিন্তু কন্যাকুমারী কেন? ভোট বিশ্লেষকদের মতে, এবার মোদীর উদ্দেশ্য ভোটসপ্তমী অর্থাৎ ১ জুন। বিশ্লেষকদের মতে, ৩টি কারণে এবারে প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানের জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ। কন্যাকুমারীর ধ্যানমণ্ডপমের বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ২ দিনের ধ্যান কর্মযজ্ঞ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১ তারিখ কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় ভোট। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভক্তদের সংখ্যা বহু। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মিশন নিয়ে মন্তব্যে ‘ক্ষুব্ধ’ ভক্তদের রাজনীতির ছকে ব্যবহার করতে চেয়েছেন মোদী।
কলকাতায় স্বামীজির বাড়ি দর্শনের পর বিবেকানন্দ রকে ধ্যান কলকাতার ভোটে বড় প্রভাব ফেলবে। কারণ ১৮৯২ সালে কন্যাকুমারীতে এই তিন সাগরের সঙ্গমেই পাথরের ওপর বসে ধ্যান করেছিলেন স্বামীজি
বিজেপি মনু সংহিতার পক্ষে। তবে মনুবাদী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত জাত-পাতের সমীকরণকে ঘৃণা করতেন বিবেকানন্দ। তাই শেষ দফার আগে বিবেকানন্দ রকে ধ্যান করে ‘মনু’ তকমা ঘোঁচানোর কৌশল মোদীর
তবে কারণ যাই হোক না কেন, তৃণমূল-কংগ্রেস সহ ইন্ডি জোটের শরিকরা অনেকেই একজোট হয়ে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে। তাদের দাবি, ধ্যানের মিডিয়া কভারেজ করে ভোটে প্রভাব ফেলতে চাইছেন মোদী।
বিরোধী রাজনীতিকদের অনেকেরই মত, ২০১৯ সালে কেদারনাথে গুহায় ধ্যান করে ভোটে তার সুফল কুড়িয়েছিলেন মোদী। তাই এবার আর তা হতে দেওয়া যাবে না। তাই কমিশনে বিরোধীরা।

মোদীর ধ্যান নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগে যখন রাজনীতি তোলপাড় তখন সামনে এল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের খোলা চিঠি। চিঠিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,
“খোলা চিঠি মনমোহন সিংয়ের”
‘মোদীজির আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী ঘৃণা আর বিভেদের এত নিম্ন মানের কথা বলেননি’
‘মোদীজি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মর্যাদাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন’
‘এই শেষ সুযোগ ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ পরিকাঠামোকে রক্ষা করার’
‘সে কথা ভেবে আপনারা আপনাদের মত প্রদান করুন’

Leave A Reply

Your email address will not be published.