এলাকায় আসে না বিধায়ক, ‘দায়’ নিয়ে  ‘ক্ষমা প্রার্থী’ মমতা

0 60

গরহাজির বিধায়ক, ভোটের আগে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ মেটাতে দায় মাথায় নিয়ে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এবার থেকে নিজেই দেখবেন’ সেই এলাকা বলে জানান মমতা। রবিবার কংগ্রেস নেতা গনী খান চৌধুরীর গড় সুজাপুরের কৃষকবাজারে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হানের সমর্থনে প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই সুজাপুর থেকেই গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন আব্দুল গনি সাহেব। কিন্তু স্থানীয়দের ক্ষোভ ভোটে জেতার পর থেকেই এলাকায় গরহাজির বিধায়ক। ভোটের আগে সেই ক্ষোভ মেটাতেই প্রচার সভা থেকে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভুল ত্রুটি যদি কেউ করে, তাতে যদি দলের উপর অভিমান হয়, আমি মনে করি মানুষই জনতা জনার্দন। তাই মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করা উচিত। আপনারা বিধানসভায় গনি সাহেবকে জিতিয়েছিলেন। মালদহকে মর্যাদা দিয়ে তাঁকে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান করি। তিনি এলাকায় আসতে সময় পান না। তাই এখন থেকে এখানটা আমি নিজে দেখব।‘

এর সঙ্গেই মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশীষ কুণ্ডুকে এই বিধানসভা এলাকা দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

এর আগে জেলা নেতৃত্ব পক্ষ থেকেও বিধায়কের গরহাজির থাকার ক্ষোভের বিষয়ে জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি সুজাপুর বিধানসভায় বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ নিজেও। তারপরই প্রচার মঞ্চ থেকে মমতার এই ক্ষমা প্রার্থনা বলে দাবি।  

প্রসঙ্গত, মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রটি বরাবরই তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত। গত বিধানসভাতেও এই কেন্দ্রে বড় জয় পেয়েছিলেন গণি সাহেব। কিন্তু তারপর থেকেই এলাকায় দেখা পাওয়া যায় না তাঁর। এলাকার মানুষের সিবিধা অসুবিধাতেও তাঁকে পাওয়া যেত না বলে ক্ষোভ। তবে মমতার এই ‘ক্ষমা চাওয়ার’ ঘটনায় সেই ক্ষোভ অনেকটা প্রশমিত হবে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আর তাই সুজাপুর থেকে  মালদা দক্ষিণ লোকসভায় নিজের ‘লিড’ ধরে রাখতে পারবে বলেই আশা শাসক দলের। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রায়হানকে লড়াই করতে হচ্ছে গনি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরীর সঙ্গে। এ ছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.