বৃহস্পতিবার ইসলামপুরে সভা কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কার্যত একসঙ্গে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপিকে বিঁধতে দেখা গেল মমতাকে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট জিতলে দিল্লিতে, আমরা নিশ্চয়ই ইন্ডিয়ার সাথে থাকব। কিন্তু বাংলায় মনে রাখবেন সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি জগাই-মাধাই-গদাই এই তিনটের একটাকেও ভোট দেবেন না।’
সভায় এনআরসি প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এনআরসি করতে গিয়ে কত লোক মারা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যোগী আসছে এখানে ভাষণ দিতে। উত্তরপ্রদেশে কাউকে একটা কথা ব্লতে দেয় না। নিজের রাজ্যটি আগে সামলান।’
এ দিন মহিলা অস্ত্রে শান দিতেও ভোলেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘বিলকিস আজও কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাথরসের ঘটনার কোনও বিচার হয়নি। সাক্ষীর টিমের কোনও বিচার হয়নি।’
মমতা বলেন ‘বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেখাক। সাহস কত দেখি। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-বোনেদের জন্য করেছে। আপনারা জীবন ভর পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’
মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করেও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা। তিনি বলেন ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি এই ঘটনা বিজেপি ঘটিয়েছে। তারপরের দিন একই জায়গায় গিয়ে প্রথম আক্রমণ করল বিজেপির বিধায়ক। আপনি রামনবমীর মিছিল করতে গিয়েছেন, অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে কে বলেছে?’ বিজেপির পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা করে করেছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে, হিন্দু-মুসলমানের মাধ্যে বিভেদ করার জন্য। আজ দেখুন সব ন্যাশানাল মিডিয়াতে এটা নিয়ে আলোচনা। কেন হাওড়ায় কমিশনের নির্দেশিকা না মেনে বিজেপির প্রার্থী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে।’
মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যসভায় সাংসদ করেছিলাম। জানতাম না বাংলায় এত বড় গদ্দার রয়েছে। ওঁর ছেলেকে বাচাতে মুম্বইতে আরএসএসের কাছে গিয়ে মাথা নুইয়েছে।’