Loksabha Election 2024 live update : অনুব্রত নেই গুড়-বাতাসা আছে, কেষ্টর মতোই হুঙ্কার তৃণমূল কাউন্সিলরের
শুরু হল চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোটের গরম। দেশ জুড়ে ১০ রাজ্যের ৯৬ আসনে ভোট গ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গ (৮) অন্ধ্রপ্রদেশ (২৫) বিহার (৫) ঝাড়খণ্ড (৪) মধ্যপ্রদেশ (৮) মহারাষ্ট্র (১১) ওড়িশা (৪) তেলঙ্গানা (১৭) উত্তরপ্রদেশ (১৩) জম্মু ও কাশ্মীর (১) কেন্দ্রে নির্বাচন আজ। চতুর্থ দফার নির্বাচনে বাংলার বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর, রানাঘাট, আসানসোল, বীরভূম এবং বোলপুরে ভোট। চতুর্থ দফায় সকাল থেকেই বিছিন্ন অশান্তির খবর বাংলার নানা জায়গায়। সবার আগে সব আপডেট নিয়ে হাজির NKTV বাংলা। চতুর্থ দফায় ভোট কেষ্ট গড়েও। কৃষ্ণ(কেষ্ট) ছাড়া কেমন চলছে বীরভূমের ভোটের রথ? বিশেষ নজরে বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে। কী বলছে দুই কেন্দ্রের ভোটের অঙ্ক? লাইভ আপডেট নিয়ে হাজির আমরা।
বীরভূম
দুপুর ১২:৩৫
১। ‘সিপিএম-বিজেপি, রেখো না! যে দু -একজন রয়েছে পিটিয়ে বার করে দে, খুব গরম। রাস্তায় উন্নয়ন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক। চারটের মধ্যে ভোট শেষ কর।’ ইলামবাজারে হুঙ্কার তৃণমূল কাউন্সিলর বাবু দাসের।
দুপুর ১২:২৫
১। ইলামবাজারের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
দুপুর ১২:০০
১। ইলামবাজারে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
২। বুথের অদূরেই তৃণমূল ক্যাম্প, সেখান থেকে বিলি হচ্ছে বাতাসা-জল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বললেন, ‘মানুষ বাতাসা খাচ্ছে আর ১ নম্বরে বোতাম টিপছে।’
সকাল ১১:৪৫
১। বিজেপি এজেন্টকে ব্যাপক মারধর, সাহাপুরে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যেই মার। যন্ত্রনায় রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে যুবক।
সকাল ৯:২০
১। বীরভূমের সিউড়িতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮৬ এবং ১৮৭ নম্বর বুথে অশান্তি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ বিজেপির। পাল্টা দাবি বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও। পুলিশের সামনেই চলল দু’পক্ষের বচসা।
সকাল ৭:৪৫
১। রামপুরহাটের ৯৪ নম্বর বুথে খারাপ হয়ে গেল ইভিএম। বন্ধ ভোট দান।
২। নলহাটিতে ২০০ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
৩। দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুরে ২৮৪ নম্বর বুথে খারাপ ইভিএম, এখনও শুরু হল না ভোট গ্রহণ।
ভোটের সমীকরণ
এক সময়ে তাঁর নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। দলের ভোটের যতই সমস্যা থাকুক ভোটের সময় সেসব ভুলে কেষ্টদার নেতৃত্বে লড়াইয়ে নামত সবাই। এমনকি তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ জানত গোটা বাংলা। তবে সেসব এখন অতীত। এই বারে ভোটে কেষ্ট আছেন তবে তা অনুরাগীদের মনে, দিদির ভাষণে এবং ছবিতে পোস্টারে। তবে অনুব্রত না থাকলেও শতাব্দী আছেন। চতুর্থবার লোকসভায় যাওয়ার দৌড়ে নেমেছেন তিনি। বিপরীতে বিজেপির প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। অবশ্য তিনিও খানিকটা কপাল জোড়েই। শীতলকুচি কান্ডে নাম জড়ানো প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর প্রার্থী হলেও রাজ্য সরকারের থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না পাওয়ায় বাতিল হয়ে তাঁর প্রার্থীপদ। প্রার্থী বিভ্রাটের জেরে খানিকটা ‘ব্যাক ফুটে’ রয়েছে বিজেপিও। আবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু প্রার্থী মিল্টন রশিদ।
বোলপুর
দুপুর ২:00
শান্তিনিকেতনের লোহারগ্রামে এক ঘণ্টা ধরে বন্ধ ভোটগ্রহণ। পোলিং এজেন্টের হাতে ধরা পড়লো ভুয়ো ভোটার। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
সকাল ১১:০০
১। নেই অনুব্রত, তবু যেন ভোটের ময়দানে বার বার চলে আসেন তিনি। ভোটের সকালে অনুব্রতর মতোই গুড় বাতাসা বিলি করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
ভোটের সমীকরণ
এই আসনেও অনুব্রত মন্ডলের প্রভাব অজানা নয় কারো। ২০১৪ সালে অবলীলায় রাজনীতিতে নবাগত অধ্যাপক অনুপম হাজরাকে জিতিয়েছিলেন অনুব্রত। তারপর তিনি বিজেপিতে চলে যান। তখন তাঁর সুপারিশেই সেখানে প্রার্থী হন তাঁর ঘনিষ্ঠ অসিতকুমার মাল। বিদায়ী সাংসদ অসিতকুমার মাল, এবারে তৃণমূলের প্রার্থী। অভিজ্ঞ পোড় খাওয়া রাজনীতিকের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী পিয়া সাহা। আবার জোট প্রার্থী নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান।