Loksabha Election 2024: বুথের ভিতর অভিভাবক তৃণমূল! ভোটারদের দেখিয়ে দিচ্ছেন কোন বোতাম টিপতে হবে, নির্বিকার প্রিসাইডিং অফিসার
অনুব্রত নেই তাই এবার বীরভূম-বোলপুরে প্রথম থেকেই একটু বাড়তি সাবধানী তৃণমূল। চিন্তাও ছিল কেষ্টদার অভাব পূরণ হবে তো। তবে চতুর্থ দফা ভোটে বেলা যত বাড়ল ততই যেন অন্য ছবি দেখল বাংলা। তিহাড় জেলে বন্দি হয়েও ভোটের রাজনীতিতে রয়ে গেলেন অনুব্রত মন্ডল। বীরভূমে তাঁর ডাকে একসময় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। আবার তিনিই ভোটের সময় জল-বাতাসা বা গুড় বাতাসা খাইয়ে ঘাসফুলে বোতাম টেপার অনন্য উপায় দেখিয়েছিলেন বীরভূমকে।
তবে তিনি এবারে জেলে বন্দি। তবু তিনি যে কেবল একটা নয়, অনেকের রাজনীতির গুরুও বটে। তাই কেষ্টহীন বীরভূমেও দেখা গেল অবাধে ভোট লুটের ছবি। সেই ছবি সবার আগে ধরা পড়ল NKTV বাংলার ক্যামেরায়। দেখা গেল বীরভূমের ইলামবাজারে ২৫ নম্বর বুথে ভোটারকে ধরে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়াচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। পরনে প্যান্ট, শার্ট এবং কোমড়ে গামছা। একের পর এক ভোটারকে হাত ধরে ইভিএম মেশিনের সামনে অবধি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিছেন কোন বোতাম টিপতে হবে। স্থানীয় ঐ তৃণমূল নেতাদের নাম ওহেদ আলি এবং নাজিমুদ্দিন। NKTV বাংলার উপস্থিতিতেই চলল দেদার ছাপ্পা ভোট। সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিকে থোরাই কেয়ার।
এই ঘটনায় নিরুত্তাপ ভোট কর্মীরাও। প্রিসাইডিং অফিসারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তবে NKTV বাংলার পর্দায় এই ঘটনা দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই টনক নড়ে কমিশনের। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঐ বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।
যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় নেতৃত্ব। এমনকি প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতা যাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত ছিল। ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। পুলিশ ঐ দুই নেতাকে খুঁজছে বলেও খবর সূত্রে।