Murshidabad Loksabha Election Updates- মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্থা করেছে মহম্মদ সেলিম, ATR রিপোর্ট তলব করল কমিশন
দুপুর ২:০০-
১। মুর্শিদাবাদে জোট সমর্থকদের ভোট দিতে বাঁধা, উত্তেজনা ডোমকলে। নিস্ক্রিয় পুলিশ শেষে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় ভোট দেন এক সমর্থক। ভীত অনেকেই, অভিযোগ শাসক দলের দিকে।
২। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ২০৪ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলে হামলা যুব কংগ্রেসের সদস্য শাহিন মণ্ডল রানার উপরে, অভিযোগের তীর শাসক দলের দিকে
দুপুর ১২:৩০-
১। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় ATR বা অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা পড়ল কমিশনে। একটি বোমা পাওয়া গিয়েছে, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, উল্লেখ রিপোর্টে।
২। মালদাহ উত্তরে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের হলদিবাড়ি এবং চাঁদমণি বুথ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মারধর, হুমকির অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঐ বুথেই ভোটারদের বাঁধা দেওয়ার পালটা অভিযোগ রয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
দুপুর ১২:০০-
১। তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্থা করেছেন মুর্শিদাবাদের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। অভিযোগ ‘ভোটারদের কুকথা বলেছেন, তৃণমূল নেতার কলার ধরে টেনেছেন।’ নির্বাচনে কমিশনে নালিশ শাসক দলের। অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করল কমিশন।
২। খড়গ্রাম বিধানসভার ইন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৭ এবং ৭৮ নম্বর আসলপুর বুথে ভোট দিলেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটারদের খাওয়ানো হচ্ছে চা-বিস্কুট, মুড়ি, ঘুগনি। দুপুরে ভোট দিতে আসা ভোটারদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ডিম-ভাতের।
৩। ডিম-ভাত নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ তৃণমূলের। খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, ‘কংগ্রেস পালে হাওয়া পাচ্ছে না। বিভিন্ন বুথে কংগ্রেসের এজেন্ট থাকছে না। কর্মীদের ঘুগনি খাওয়ানোর জন্য যে রান্না করেছিল সেটা ভোটারদের বিলি করছে।’
সকাল ৯:৪০-
১। রানিনগরে গ্রেফতার করা হল এক ভুয়ো এজেন্টকে।
২। সিপিএম এজেন্টকে বুথে বসতে বাঁধা, বেদম মার, পালিয়ে কলাবাগানে আশ্রয় নিল বাম কর্মী, প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এসে উদ্ধার করল সেই কর্মীকে।
৩। রানিনগরের ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। প্রিসাইডিং অফিসারের বর্তমানে কী করে এই ঘটনা ঘটে, প্রশ্ন সেলিমের।
৪। রানিনগরের মরিচা নিচুপাড়ায় তৃণমূল কর্মীর বাড়ির পিছনে বোমা ফাটিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
৫। গোপীনাথপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বুথে ঢুকে জাল এজেন্টকে টেনে বের করলেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।
৬। মুর্শিদাবাদ লোকসভার আমডহরা এলাকায় আক্রান্ত বাম-কংগ্রেস কর্মীরা, লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এসরাফিল সেখ মঙ্গলবার সকালে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ দিয়ে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ ।
সকাল ৯:১৫-
১। মুর্শিদাবাদে জোর টক্কর মহম্মদ সেলিমের, একাধিক জায়গায় সিপিএম এজেন্টদের বুথে ধুকতে বাঁধা। পালিয়ে কলাবাগানে আশ্রয় নিল বাম এজেন্ট।
সকাল ৮: ৪৫-
১। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে ২৮২ নম্বর বুথেভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
২। মুর্শিদাবাদ লোকসভার করিমপুর বিধানসভার অন্তর্গত ১১৩ নম্বর বুথে ভোটকেন্দ্রের মধ্যে রাজ্য পুলিশ থাকার অভিযোগ।
সকাল ৮:২০– রানিনগরের লোচনপুরে ৩৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই বাম এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সকাল ৮:০০– ভোট শুরুর আগেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বোমাবাজির অভিযোগ। কংগ্রেস সমর্থকের বাড়ির লক্ষ্য করে সকেট বোমা ছোড়ার অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এক সময়ের বাম দূর্গ মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস ছিনিয়ে নিয়েছিল বাম জমানার শেষ দশকে। ২০০৪ এবং ২০০৯-এর লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন ‘হাত’ চিহ্নের প্রার্থী মান্নান হোসেন। ২০১৪-য় তিনি সিপিএমের বদরুদ্দোজা খানের কাছে হেরে যান।তার পরেই নাম লেখান তৃণমূলে। ২০১৯ সালে শুভেন্দু দায়িত্ব নিয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী করে তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানকে। এবারেও প্রার্থী তিনিই। ২০২১-এর ভোটে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা আসনে জেতে বিজেপি। তৃণমূল জেতে ভগবানগোলা, রানিনগর, হরিহরপাড়া, ডোমকল, জলঙ্গি এবং করিমপুরে। এই কেন্দ্রে ভোট তৃতীয় দফায়
রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত আসনগুলির অন্যতম মুর্শিদাবাদে বরাবর সংখ্যালঘু সাংসদ পেয়েছে। সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই ২০১৯ সালে এই আসনে হুমায়ুন কবীরকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে এবারে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর হয়ে প্রচার করেছেন শুভেন্দু। ঘুরে গিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদে লড়াইয়ে দ্বিতীয় হওয়াটাই যেন চ্যালেঞ্জ। এই বারে তৃণমূলকে এখানে যদি কেউ বিপদে ফেলতে পারে তা হল বাম-কংগ্রেস জোট। তাঁদের প্রার্থী সিপিএমের পল্যিটবুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। গত লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখলে বাম-কংগ্রেস জোটের যৌথ প্রাপ্তি ছিল ৫,৫৮,৭২২ ভোট(যদিও সেই সময় জোট ছিল না)।