পঞ্চম দফার ভোটে বাংলায় লড়াই ৭ কেন্দ্রে। বিশেষ নজরে রয়েছে ৩ কেন্দ্র। হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভিড়, রাজনৈতিক তড়জা উত্তেজিত ভোট বাংলা। পাশাপাশি ৩ কেন্দ্র আরামবাগ, হুগলী, এবং শ্রীরামপুর। কেম্ন চলছে ভোট, কোথায় অশান্ত পরিস্থিতি সব খবর নিয়ে সবার আগে হাজির NKTV বাংলা।
হুগলী লোকসভা কেন্দ্র
দুপুর ১২:২৭
১। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। ১০৭ নম্বর বুথে যেতেই ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান গ্রামবাসীদের। অভিযোগ গত ৫ বছরে কোনও কাজ করেননি তিনি।
২। পালটা ‘অসীমা চোর’ স্লোগান বিজেপি প্রার্থী লকেটের। স্লোগান দেন তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্রের বিরুদ্ধে।
সকাল ১১:১৩
১। আশা কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়ালেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কেন বুথের বাইরে আশা কর্মী প্রশ্ন লকেটের। তাঁকে উঠে যেতেও নির্দেশ বিজেপি প্রার্থীর। ‘আমি সরকারি লোক, সরকার আমাকে বসিয়েছে কে কোন বুথে যাবে তা বলার জন্য। আমি ওনার কথায় যাব কেন? আমরা কাউকে প্রভাবিত করছি না’ পালটা আশা কর্মীর। থানায় ফোন করে অভিযোগ লকেটের, বললেন ‘এখানে বসে ভোটারদের তৃণমূলের হয়ে প্রভাবিত করছে, এঁদের তুলে নিয়ে যান’।
সকাল ১০:৫৬
১। আরও এক ভুয়ো এজেন্ট ধরলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ৮৩ নম্বর বুথ থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করলেন সেই এজেন্টকে।
সকাল ১০:৪৫
১। ধনেখালির ৮৪ নম্বর বুথ থেক্লে ভুয়ো এজেন্টকে বার করলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সকাল ১০:২৪
১। হুগলীতে এবার সরাসরি পুলিশকেই ধমক বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। কেন জমায়েত হচ্ছে প্রশ্ন তাঁর।
সকাল ৯:৪৪
১। হুগলী ১২৯ নম্বর বুথে তৃণমূলের ব্যানার পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ।
সকাল ৯:০০
১। জেলা আধিকারিকের সই জাল করে কার্ড তৈরী করে ভোটার সহায়তা কেন্দ্র তৈরী করে ভোটকে প্রভাবিট করার চেষ্টা। হুগলীর ধনিয়াখালিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
সকাল ৮:৪০
১। ধনিয়াখালি বসো প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৭ ও ১৫৮ নম্বর বুথে মকপোলের সময় বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। দুপুর ২টোর মধ্যে বুথ না ছাড়লে বোমা মারার হুমকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
২। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে আশা কর্মীদের ভোটার সহায়তা কেন্দ্র।
সকাল ৭:১৫
১। হুগলীতে টাকা বিলি করছে আইপ্যাক। ২০টি ছেলে গতকাল রাতে হুগলীতে এসেছে। তারাই টাকা বিলি করছে। কড়া হাতে মোকাবিলা করা হয়েছে দাবি লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এই কেন্দ্রে লড়াই দুই নায়িকার। একজন পর্দার ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরেকজন রূপোলি পর্দা ছেড়ে এখন পুরোপুরি রাজনীতিক লকেট চট্টোপাধ্যায়। বামেদের প্রার্থী দক্ষ সংগঠক মনোদীপ ঘোষ। শিকে ছিড়বে কার?
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র
দুপুর ১:১০
১। মোল্লারপাড়ায় বুথ জ্যাম সরাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যারা যারা বাম প্রার্থী দীপ্সিতাকে ঘিরে স্লোগান দিচ্ছিল তাঁদের সরিয়ে দিল জওয়ানরা।
দুপুর ১:০০
১। । ডোমজুড় মোল্লারপাড়ায় সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সিপিএম বুথ এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। শাসক দলের অভিযোগ, ‘নিজেই নিজের জামা ছিঁড়ে রাজনীতি করছে সিপিএম। ওঁর অনেক টাকা ধার রয়েছে। রাস্তায় বেরোতেই পাওনাদার টাকা চেয়েছিল, তখন নিজে জামা ছিঁড়ে বলছে তৃণমূল মেরেছে।’
দুপুর ১২:৫১
১। ডোমজুরে সিপিআইএম কর্মীদের মারধরের অভিযোগ। আতঙ্কিত এজেন্ট, ভীত।
দুপুর ১২:১২
১। শ্রীরামপুর লোকসভার ডোমজুড় বিধানসভায় দেবী পাড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উচিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। দু’দলেরই বেশ কয়েকজন সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
সকাল ১১:৩২
ফুরফুরা শরিফে বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আইএসএফ এবং সিপিএমকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি, গুন্ডা সেলিম অনেক ছক করেছিল সব ছক ভেঙে দিয়েছি। বিমান বসুকে শুইয়ে দিয়েছি। নওসাদ সিদ্দিকি পালিয়ে গিয়েছে।’
সকাল ১১:১৮
১। সোমবার সকালে বালি ঘোষপাড়ায় মতিগড় অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে ভোট দিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।
সকাল ৯:০০
১। কাঁচড়াপাড়ায় ভোটারদের ঢুকতে বাঁধা, অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তোপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সকাল ৮:৪৫
১। ডানকুনি হাই স্কুলে ১৯৯ এবং ২০২ নম্বর বুথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির কথায় কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তোপ কল্যাণের।
সকাল ৮:১৫
১। হাইভোল্টেজ শ্রীরামপুর। জগতবল্লভপুরে ১৮৩ নম্বর বুথে মারধর করে সিপিএমের এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
২। বিরোধীদের কাছে কিছু নেই শ্রীরামপুরে সিপিএম-বিজেপি জোট করেছে, দাবি তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সম্মুখসমরে নেমেছেন প্রাক্তন শ্বশুর-জামাই। বিদায়ী সাংসদ তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। দুই ফুলকে টেক্কা দিতে বামেদের বাজি তরুণ নেত্রী দীপ্সিতা ধরের উপর। ফল পাবে কি?
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র
দুপুর ৩:০০
১। চন্দ্রোকোনায় ধুন্ধুমার। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিআরপিএফের লাঠি চার্য।
দুপুর ২:০৯
১। বেলা দেড়টা নাগাদ আরামবাগের গোঘাটে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ সাতবেড়িয়া হাই স্কুলে এলেই তাঁকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন বিজেপির কর্মীরা। পালটা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় তৃণমূলও। উত্তেজনা সামাল দিতে উত্তেজিত জনতাকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় বাহিনী।
সকাল ১০:১৫
১। পুরশুরার ঘোল সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের কাছে উদ্ধার দুটি বোমা। তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য বোমা নিয়ে এসেছিলেন। বাড়ির সামনে বোমাবাজি করার সময় স্থানীয়েরা এক বিজেপি কর্মীকে ধরে ফেলেন। সুরজিৎ পাত্র নামে বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সকাল ৮:১৫
১। খানাকুলে ব্যাপক তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। জখম ১২ জন।
মাটির ঘরে থাকা সাধারণ তৃণমূল কর্মী মিতালি বাগ। সৎ, নির্ভিক। এই বারে জোড়াফুলের প্রার্থী তিনিই। বিজেপির হয়ে লড়ছেন অরূপকান্তি দিগড়। গত বারে মাত্র ১,১৪২ ভোটে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। এই বারে কি তবে পাল্টাবে পাষা? নাকি ব্যবধান বাড়াবে ঘাসফুল? বামেদের প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষক বিপ্লবকুমার মিত্র।