লোকসভার আগে তৃণমূলে ভাঙন। ২৩ বছরেরে সম্পর্ক ছিন্ন। তৃণমূল ছাড়লেন বিধায়ক তাপস রায়। দল ছেড়েছেন। পদও ছেড়েছেন। তাপস রায়ের রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সোমবার, বিধানসভা থেকে বেরিয়েই তাপসের দাবি, তিনি মুক্ত বিহঙ্গ।
দলে থাকাকালীন তিনি মাঝে মধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কখনও দলের সতীর্থদের বিরুদ্ধে কখনও বা দলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে। সমালোচিতও হয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে। কিন্তু, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ২৩ বছরের। সেই ২৩ বছরের সম্পর্কও টিকল না। দল ছাড়লেন তাপস রায়। সোমবার বিধায়ক পদ থেকেও দিলেন ইস্তফা।
তৃণমূলের সর্বত্র দুর্নীতি। ইডি অভিযানের পরেও খোঁজ নেননি নেত্রী। দলে থেকে অপমান-অবমাননার শিকার। দল ছেড়েই অভিযোগ তুললেন তাপস।
তাপসের মানভঞ্জনে রবিবারের পর সোমবার সকালেও তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। কিন্তু সেই দৌত্যও কাজ করেনি।
তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, তাপস রায়ের সঙ্গে উত্তর কলকাতার সাংসদের দ্বৈরথ। দলের সেই বরিষ্ঠ নেতার সঙ্গে বাগযুদ্ধে বারবার জড়িয়েছেন তাপস। পরবর্তীতে সেই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন কুণাল ঘোষও। দলের সেই সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধ স্বর হিসেবে বারবারই দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাপস রায়।
তৃণমূলের অন্দরে বারবার উঠেছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। যত দিন গিয়েছে, দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বও সামনে এসেছে। প্রতিবারই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার আগে ফের তৃণমূলে ভাঙন। তাপসের অভিমান মেটাতে আসরে নামবেন নেত্রী?