সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতেই লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ, তালা ভেঙে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা : লালবাজার
Lalbazar : Kasba: কসবাকাণ্ডে এবার লালবাজারের সাফ জবাব। সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল। আন্দোলনকারীরা তালা ভেঙে, পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী। ১২টা ২৮ থেকে দুপুর ১২টা ৩০-এর মধ্য়ে হামলা চালানো হয়। মহিলা পুলিশকর্মীদের মাথায় পা রেখে কসবা ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেছিল আন্দোলনকারীরা। এসআই রিটন দাস গুরুতর আহত হন। সমস্ত রকম প্রতিরোধ ভেঙে ফেলার লর তার ওপর হামলা চালানো হয়। সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতেই এস আই রিটন দাশ বাধ্য় হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ করেন। তবে লাথিকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে লালবাজার। কসবাই ডিআই অফিসে পুলিশকে বলা হয়েছিল চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা আন্দোলন করবে। পুলিশ ভাবতে পারে নি শিক্ষকরা পুলিশকে আক্রমন করবে। পুলিশ পরে বুঝতে পারে বাইরের লোক এই আন্দোলনে এসেছিল। সবাই শিক্ষক ছিলেন না। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কসবাকাণ্ড নিয়ে সাফ কথা লালবাজারের।
কলকাতা পুলিশের পদ্ধতি মেনেই রিটন দাসকে এই তদন্তের আইও হিসেবে দেখানো হয়। যেহেতু উনিই এই কেসের ডিউটি অফিসার ছিলেন তাই প্রথম থেকে ওনার নামই দেওয়া হয়েছিল তদন্তে। পরে রিটন দাসকে এই কেসের তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে সাফ কথা কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভর্মার।
সাংদাবিক সম্মেলনে মনোজ ভর্মা প্রশ্ন করেন কেন এই ভাবে কলকাতা পুলিশকেই এি ঘটনার জন্য় দায়ী করা হচ্ছে? কেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের হামলার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা হচ্ছে না। এদিন লালবাজারের তরফ থেকে একাধিক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয় আন্দোলনকারীরা হামলা চালানোর আগে পর্যন্ত পুলিশ কোনও অ্য়াকশন নেয় নি। তারা প্রতিরোধ করছিল। তবে আন্দোলনকারীরা মারমুখী হয়ে হামলা চালানোর পরেই পুলিশ বাধ্য় হয়ে প্রতিঘাত করে।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুর দিকে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রুপেশ কুমার কসবাকাণ্ডের একাধিক ভিডিও ফুটেজ ও ছবি প্রকাশ করেন। সেই সমস্ত ছবিতে হামলাকরীদের চিহ্ণিত করা হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। পরে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা বলেনকসবাকাণ্ডে যে বাইেরের লোক এসে হামলা চালিয়েছিল তা পুলিশ জানতে পেরেছে। সেই হামলাকীদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।
Comments are closed.