মধুরেণ সমাপয়েত, ব্রাত্যের মধ্যস্থতায় ফের তৃণমূলের হয়ে আসরে কুণাল

0 29

অভিমানী কুণালকে কি তবে ফের স্বমহিমায় দেখা যাবে তৃণমূলে? ব্রাত্য বসুর মধ্যস্তায় বৈঠকে কি বরফ গলেছে? ডেরেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কুণাল বললেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।

কুণাল পর্বের মধুরেণ সমাপয়েতের ইঙ্গিত মিলেছিল সকালেই। দলনেত্রীর সঙ্গে ছবি ট্যুইট করেছিলেন কুণাল। ক্যাপশন ছিল ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’। আর বেলা গড়াতেই দেখা গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে কুণাল রওনা দিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েনের বাড়ির দিকে। প্রায় ৩০ মিনিটে বৈঠক চলে ডেরেকের বাড়িতে। বেরিয়ে এসে কুণালের গলায় শোনা গেল গুপী গায়েন বাঘা বায়েনের গান। 

বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি কুণাল ঘোষ। দল তাঁকে যে ভাবে প্রচারে নামাবে, তিনি সে ভাবেই প্রচার করবেন। তবে এদিন ফের একবার দাবি করলেন তিনি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। কু‌ণালের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি। আমি তৃণমূল পরিবারের একজন সৈনিক। আমি দলে ছিলাম, আছি, থাকব।’

 বৈঠকের বিষয় বস্তু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ব্রাত্য বসুও। তাঁর কথায়, তিন জন তৃণমূলের লোক বৈঠক করেছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নেই। তবে কুণাল ক্ষত যে গভীর ছিল তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রাত্য। কুণালের ক্ষোভ প্রসঙ্গে ব্রাত্যের জবাব, ‘ধরুন, আমার হাতে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার উপর যদি একটা লিউকোপ্লাস্ট লাগানো থাকে, আপনি কি বলবেন, কবে সারবে? কবে সারবে? সময় দিতে হবে তো।’

বৈঠকে বরফ গললেও তৃণমূলে হারানো পদ কি ফিরে পাবেন কুণাল? জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের প্ৰাক্তন মুখপাত্র। এই দিন  কুণাল বলেন, ‘সময় দিন। সব দেখতে পাবেন। আমি দলে আছি। দলও আমায় আস্থা ও স্নেহ রেখে থাকার অধিকার দিচ্ছে।’  তবে গত ১ মে কুণালকে দলীয় পদ থেকে সরানোর ডেরেকের যে চিঠি সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূলের তরফে দেওয়া হয়েছিল, তা কুণাল পাননি বলেই জানিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। উত্তর কলকাতার একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল কুণালকে। তাপসের দরাজ প্রশংসাও শোনা যায় কুণালের গলায়। আর বিকেলেই কুণালকে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত করে তৃণমূল। গত ৭২ ঘন্টায় কুণালও চুপ থাকেননি। তবে সে সব অতীত। তৃণমূলের অন্দরমহলের একাংশের দাবি, দলে সম্ভবত কুণাল তাঁর দ্বিতীয় কামব্যাক ঘটিয়ে ফেললেন। তবে কুণালের মুখপাত্র পদ, সাধারণ সম্পাদকের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা অথবা তাঁকে পুনরায় ‘তারকা প্রচারকের’ তালিকায় রাখা হবে কি না তা নিয়ে কোনও পক্ষই এখনও অবধি কোনও মন্তব্য করেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.