নিউজ ডেস্ক, ১৬ নভেম্বর : ফের থানায় পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। খাস কলকাতায় পুলিশি হেফাজতে পিটিয়ে মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। চুরি যাওয়া একটা মোবাইল ফোন কেনা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। পরিণতিতে মৃত্যু, মৃত্যু নিয়ে তরজা, পথ অবরোধ। জল গড়িয়েছে আদালতেও।
বুধবার সন্ধ্যে ৫ টা বেজে ৪৩ মিনিট। পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় গিয়েছিলেন অশোক সিং। চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে তাঁকে তলব করেছিল পুলিশ। মিনিট পনেরোর মধ্যেই থানাতেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে অশোককে। অভিযোগ পুলিশের।
থানার ভিতর থেকে অশোকের দেহ উদ্ধারের একটি ফুটেজও সামনে আনে মৃতের পরিবার। পুলিশের দাবি, লক আপে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন অশোক। থানার সিসিটিভি ফুটেজ চায় পরিবার। একই দাবিতে সরব হয় বিজেপি।
বুধবার রাতে লকআপে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্ত্বরও। হয় পথ অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে বচসা। অশোকের দেহ তখন মেডিক্যাল হাসপাতালে। দাবি ওঠে, দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে। ওঠে সিবিআই তদন্তের দাবি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা বেজে ৪৫ মিনিট। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে থানায় যায় গোয়েন্দা বিভাগের টিম। ময়নাতদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফিরও আশ্বাস দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু ১২টা বেজে ১২ মিনিটে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত ও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
দুপুর ১টা বেজে ৪৫ মিনিট। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের একটি প্রতিনিধি দল আসেন আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়। পুলিশি নিগ্রহেই মৃত্যু। দাবি করেন এপিডিআরের সদস্য আলতাফ আহমেদ।
অভিযোগ উঠছে, দুই পুলিশকর্মী নাকি মদ্যপ অবস্থায় মারধর করেছিলেন অশোককে। সব অভিযোগই খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।