খাস কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গি। যত্রতত্র জঞ্জালের স্তূপ। বিরক্ত কলকাতার মেয়র।
জঞ্জালের স্তূপ। সেখানে জমা জল আর মশার ঘর। প্রতি বছর বর্ষায় শহর কলকাতায় এই ছবিটা চেনা। কিন্তু এই পরিস্থিতি আর পাঁচটা এলাকার মতো নয়। জঞ্জালের ডাঁই পড়ে থাকা এই ছবিটা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। তারপর যা হওয়ার তাই হল।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কর্মী আবাসনেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ২০ জন।
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১৫ জন।
মেডিক্যাল হাসপাতাল লাগোয়া ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলেও হানা দিয়েছে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া।
৪ জন পড়ুয়া আক্রান্ত বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
আক্রান্তদের কয়েকজন ভর্তি ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।
এখানেই শেষ নয়। এডিস ইজিপ্টাইয়ের আঁতুড় ঘর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। যেখানে বাইরে থেকে পড়ুয়ারা আসেন। তাই উদ্বেগটা আরও বেশি। সোমবার
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের প্ৰাণ যায় ডেঙ্গিতে
উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেবকে চিঠি লিখে সহযোগিতা চেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, হস্টেল, রেসিডেন্সিয়াল কোয়ার্টার রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
এত বড় এলাকায় ডেঙ্গি প্ৰতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া অসম্ভব বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে যাথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে JU কৰ্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ এনে আগেই কেস ফাইল করেছে কলকাতা পুরসভা। বারবার নোটিস সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেস ফাইল করা হয়। যদিও তারপরেও চিত্রটা বদলায়নি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে কার্যত বিরক্ত কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে, শহরের একাধিক খালি জমিকে রীতিমত ভ্যাটে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ওই পরিত্যক্ত জমিগুলিও।
পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, এই ধরণের পরিত্যক্ত জমির সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৫০টি।
এর মধ্যে ৫০ শতাংশ জায়গা সরকারি জমি।
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষস্থানে উত্তর ২৪ পরগনা।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত ২৬ জন
কলকাতা সংলগ্ন বিধানগর, দমদমেও একাধিক পুরসভা এলাকায় জলাশয়গুলিতে আবর্জনার স্তূপ। যেন ডেঙ্গিকে আমন্ত্রণ জানানোর ফাঁদ। প্রশ্ন উঠছে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কারা সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব নাকি প্রশাসনের উদাসীনতা?