‘ওঁর কথা পাড়ার গুণ্ডা মস্তানের মতো’! ভোটের আগে অধীরকে তোপ নওসাদের
লোকসভা ভোটের আগে প্রাক্তন জোট সঙ্গী অধীর চৌধুরী বিরুদ্ধে রণংদেহী রূপে আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ার জন্য দায়ী করলেন অধীরকেই। আরএসএসের সঙ্গে জো থাকার অভিযোগ নওসাদের। তাঁর কথায়, ‘জোট না হওয়ার সব থেকে বেশি দায়ী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। উনি আইএসএফকে অচ্ছুৎ মনে করেন। বাংলার মানুষের কাছে ওনাকে জবাব দিতে হবে।’
এনকেটিভি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাকে এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নওসাদ বলেন, ‘অধীর চৌধুরী কোনদিন চায়নি বাংলায় লেফট ফ্রন্ট, আইএসএফ এবং কংগ্রেসের জোট হোক। উনি বারবার আইএসএফকে, আমাকে কটূক্তি করেছেন। কিন্তু তারপরেও বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা কিছু বলিনি। আমরা যাদবপুর এবং মুর্শিদাবাদ ছেড়ে দেব বলেছিলাম, মাত্র ৭টা আসন চেয়েছিলাম, তাও জোট হয়নি। আমরা ২০২১ থেকে ২০২৪ এখন অনেক ভাল জায়গায় রয়েছি।’
বহরমপুরে কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে ‘নোটা’য় ভোট দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এমনকি অধীর চৌধুরীকে পাড়ার গুণ্ডা মস্তানের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায় অধীর চৌধুরী ‘পাড়ার গুণ্ডা মস্তান, চার আনার নেতাদের কথা বলেন।’
অধীরকে লক্ষ্য করে নওসাদ বলেন, ‘উনি তো ২৫ বছর সাংসদ। মনমোহন সিংহের সময় ১০ বছর কংগ্রেসের সরকার ছিল। তারপরেও কেন একটিও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বা এইমসের মতো হাসপাতাল হয়নি মুর্শিদাবাদে। একজন সাংসদ এক বছরে ১০ জনের নাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য পাঠাতে পারেন। উনি সেখানে ক’জন পিছিয়ে পড়া মানুষের নাম দিয়েছেন। এই প্রশ্ন করা হচ্ছে বলে এখন অধীরবাবুর খুব অসুবিধা হচ্ছে।’
নওসাদের কথায়, ‘উনি খালি ভোটের সময় মন্দিরে, মাদ্রাসায়, গির্জাতে, মসজিদে চলে যাচ্ছেন। আর ভোট মিটে গেলেই সাধারণ মানুষের তাঁদের সমস্যা নিয়ে গেলে কোনও সমাধান হয় না।’
বহরমপুরে অধীরের জনপ্রিয়তা কমছে বলেও দাবি নওসাদের। তিনি বলেন, ‘অধীর চৌধুরীর পকেট থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে। বহরমপুরের মানুষ যেটা ভাল মনে করবেন সেটাই করবেন। অধীর বাবু কেন আইএসএফকে অচ্ছুৎ মনে করে জোট করলেন না? এর জবাব তাঁকে দিতে হবে।’
এমনকি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আরএসএস নেতাদের যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন আইএসআফ নেতার। তিনি বলেন, ‘মুশির্দাবাদের কোন আরএসএস নেতার সঙ্গে তলে তলে কার কী যোগাযোগ আছে তাও সময়ের সঙ্গে সবার সামনে আসবে।’