নারকীয় হত্যাকাণ্ড উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে, সপরিবার দলিত শিক্ষককে গুলি করে খুন

0 24

নারকীয় হত্যাকাণ্ড উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে। বাড়িতে ঢুকে সরকারি স্কুলের এক দলিত শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী ও দই সন্তানকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। মাস দুই আগে প্রাণহানির আশঙ্কা করে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন নিহত শিক্ষকের স্ত্রী। ঘটনায় জড়িতরা কেউ পার পাবে না, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

হোয়াটস অ্যাপের স্টেটাসে উল্লেখ করে গোটা পরিবারকে গুলি করে খুন চন্দন ভার্মা নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার ভোরে গুলির আওয়াজে ঘুম ভাঙে আমেঠির ভবানীনগরের বাসিন্দাদের। দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে সুনীল কুমার নাম এক দলিত শিক্ষক তাঁর স্ত্রী পুনম এবং তাঁদের দুই শিশুকন্যাকে। পরিবারের চার সদস্যকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। ভবানীনগরে একটি মেলা চলছে। সেই মেলার জন্য কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ভবানীনগরে। তার মধ্যেই এই নারকীয় হামলা।

নিহত শিক্ষকের স্ত্রী পুনম চন্দনের বিরুদ্ধে আগেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ১৮ অগাস্ট আমি ও আমার স্বামী সুনীল হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। সে সময় চন্দন পথ আটকে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আমার স্বামী সুনীলকে মারধর করে। বাধা দিলে আমাকেও মারধর করা হয়। পুলিশে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় চন্দন। আমাদের কিছু হলে তার দায়ী থাকবে চন্দন।

অভিযোগ, এফআইআর দায়েরের পরও ওই দলিত শিক্ষক পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবারের ঘটনা তারই প্রমাণ। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স পোস্টে জানিয়েছেন।

আমেঠির ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দোষীদের কোনওভাবেই ক্ষমা করা যায় না। ঘটনায় জড়িতরা কেউ রেহাই পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন আমেঠির কংগ্রেস সাংসদ কিশোরীলাল মিনা। এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ।

১৮ অগাস্ট অভিযোগ জানানোর কারণেই চন্দন এই খুন করল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার মূল অভিযুক্ত চন্দন পলাতক। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি গুলির খোল এবং একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এদিনের ঘটনায় পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.