পহেলগাঁও-র জোরালো প্রত্যুত্তর, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ২ সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি, গ্রেফতার ২ সহযোগীও

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ এপ্রিল: পহেলগাঁও হামলার পর গোটা কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে সেনাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী এই অভিযানের অংশ হিসেবেই শনিবার সকালে কুলগাম জেলার দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানের সময় জঙ্গিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে ওই জঙ্গিদের সরাসরি যোগ থাকতে পারে।

এছাড়াও কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করছিল। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাস দমন অভিযানের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা কর্তারা।

সংবাদ সংস্থা এএনআই, স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে—গোপন সূত্রে খবর ছিল, কুলগামে জঙ্গিদের দুই সহযোগী লুকিয়ে আছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই শুক্রবার রাতেই অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী।

শনিবার সকালে ধরা পড়ে ওই দুই সন্দেহভাজন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

কুলগামে শনিবার সকালে যে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার মালিকের নাম জ়াকির আহমেদ গনি। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রকাশ্যে এসেছে ধ্বংসাবশেষে পরিণত বাড়ির ছবিও।

তদন্তকারীদের ধারণা, পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হলেও, নেপথ্যে থেকে এই জ়াকিরের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পরিকল্পনায় তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল, এবং হামলার পর থেকেই সে গা-ঢাকা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ, তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পুলওয়ামায় আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি, আহসান আল হক শেখের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামার মুরান গ্রামে বসবাস করত সে। শুক্রবার রাতে বুলডোজ়ার দিয়ে তার বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়, এবং ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং ১ জন নেপালি নাগরিক। অভিযোগ, হামলাকারীরা পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে, তারপর তাদের বেছে বেছে হত্যা করেছে। ভারতের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে, এবং ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ), যা পাকিস্তানের লশকর-এ-তৈবা সংগঠনের শাখা।

Comments are closed.