ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জে জল বাড়ায় ভেসে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম। বিদ্যুতের পোল পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎহীন এলাকা। দার্জিলিং-এ বৃষ্টি কমলেও একাধিক রাস্তার করুণ দশা। বিপাকে সাধারণ মানুষ।
জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত তিস্তার জলে। প্রতিবছরই এই দুর্দশা পোহাতে হয় বাসিন্দাদের। অথচ প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। ইলেকট্রিকের পোল ভেঙে জলে পড়ে রয়েছে। দেড় মাস হল কিন্তু দেখার কেউ নেই। অভিযোগ ৪০ নিস্তর চর এলাকার বাসিন্দাদের।
তিস্তার জলের তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও স্কুল। ভেসে গিয়েছে আস্ত একটি গ্রাম। আতঙ্কে এলাকাবাসী।
বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন্ধ রাস্তাঘাট, একমাত্র ভরসা নৌকা, তাও আবার কখন চলে তার কোন নেই ঠিক, জলের তলায় রয়েছে বাড়ি, কবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চল্লিশের নিস্তর চর এলাকাবাসীর, আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে গোটা চর এলাকা বাসিন্দাদের। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বৃষ্টি কমায় খনিকের স্বস্তি, তবে বন্ধ পাহাড়ের বহু পথ। পাহাড়ি পথে বিপদ বাড়ছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল দার্জিলিং যাবার ১১০ নম্বর, ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তার ওপর মাটি-পাথরের স্তূপ জমেছে। পাগলাঝোরা এবং তিনধারিয়ায় যে ধস নেমেছিল, তা এদিন বড় আকার নেয়। পাশাপাশি মহানদী এলাকায় ভূমিধসের জেরে ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ বসে যায়। বহু জায়গায় ধরেছে ফাটল। পাশাপাশি নানা এলাকায় নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে রাস্তা বসে যাওয়ায় রবিবার হিলকার্ট রোড বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
একটানা বৃষ্টির পর রবিবার আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হয় জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। রোদ ঝলমলে দিন থাকলেও সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল থেকেই ফের মেঘলা আকাশ। বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী আরও কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।