নিউজ ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর : সেজে উঠেছে সারা শহর। প্রতিপদ থেকে শুরু হয় নবরাত্রি উৎসব। এই ৯ দিন দেবী নানারূপে পূজিত হন। একেক দিনের পুজো পদ্ধতি ও মাহাত্ম্য একেকরকম। হিন্দু পুরাণ অনুসারে এগুলো দেবী পার্বতীর নয়টি ভিন্ন রূপ ৷ এই নয় রূপ হল যথাক্রমে – শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। এদের মধ্যে চতুর্থীর দিন দেবীকে কুষ্মাণ্ডা নামে পুজো করা হয়। বিশ্বাস, এই দিন দেবী দুর্গা বিশ্বের স্রষ্টার রূপ গ্রহণ করেন।
দেবী এই রূপে দশ নয়, আট হাতের অধিকারী। দেবীকে বলা হয়, আদিশক্তি। গৌরবর্ণা দেবীর অঙ্গে অঙ্গে তাই সূর্যের মতো ছটা। তিনি সর্ব দুঃখহরণকারী, মা ব্যাধি থেকে মুক্ত করে ভক্তদের ইহলৌকিক পরলৌকিক সমৃদ্ধি দেন। তিনি মাতৃরূপের পূর্ণ প্রকাশ। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের জননী। সন্তানকে রক্ষা করেন সমগ্র জাগতিক কষ্ট থেকে মুক্ত করেন। এই দেবীর পূজায় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো বলি দেওয়ার রীতি আছে।
কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির বিখ্যাত। কাশীতে তিনি দুর্গা নামেই পরিচিত। তিনি কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী। কাশীতে অসি নদীর সঙ্গমস্থলে কুষ্মাণ্ডার অধিষ্ঠান রয়েছে। দেবীর মন্দিরটি বেশ বড়ো ও বহুচূড়াবিশিষ্ট।
লাল পাথরের তৈরি সুদৃশ্য এই মন্দিরের কাছেই কাশীর বিখ্যাত তীর্থ দুর্গাকুণ্ড। হিন্দুধর্মে অবিশ্বাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এই মন্দিরে। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবী কুষ্মাণ্ডার পশ্চিমমুখী দুই হাত উঁচু বিগ্রহটি অবস্থিত।
কাশীতে একমাত্র এই মন্দিরেই নিয়মিত বলিদান হয় এছাড়া কালরাত্রি মন্দিরে বছরে একবার বলি হয়। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রির চতুর্থীর দিন অর্থাৎ শুক্ল চতুর্থীর দিন এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।