পুরুলিয়ায় বিরল শ্বেত পলাশের সন্ধান

0 72

লাল পলাশের পর এবার বহুমূল্য শ্বেত পলাশ। পুরুলিয়ায় ১৫ টি শ্বেত পলাশের সন্ধান পেল বনদফতর। শ্বেত পলাশ দেখতে পর্যটকদের আগ্রহ চোখে পরার মত।

পুরুলিয়া মানেই লাল পলাশে ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্য। বসন্ত মানেই লাল পলাশে ঢাকা পুরুলিয়ার অসাধারণ সৌন্দর্য। এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর বহু পর্যটক ভিড় জমান এই লাল মাটির জেলায়। আর সেই সৌন্দর্যে চার চান্দ লাগিয়েছে শ্বেত পলাশ। গত বছরই খোঁজ মিলেছিল এই শ্বেত পলাশের । গত বছর এই শ্বেত পলাশের সন্ধান পান আড়ষা ব্লকের ভ্রমরটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জ্বলকুমার দত্ত। তিনি প্রথম এই শ্বেত পলাশের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ভাইরাল হন। তারপর থেকেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পর্যটকদের। আর এবার গোটা পুরুলিয়া জুড়ে মোট আটটি জায়গায় ১৫ টি বিরল শ্বেত পলাশ বৃক্ষের সন্ধান পেল বনদফতর। এই বিরল সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দি করেন ফটোগ্রাফার দুর্গা দাস মাহান্তি।

গত বছর থেকেই এই শ্বেত পলাশের বিষয়টি সামনে আসতেই গাছের দাম, লিজ দেওয়া নিয়ে ৮০ লক্ষ টাকা দর ওঠে। এরপরই শ্বেতপলাশের গাছে ক্ষত দেখা যায়। বিষয়টি নজরে আসতেইওই গাছগুলির রোগ নিরাময়ে পদক্ষেপ নেয় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় । হুড়ার রাকাব জঙ্গল ও পুঞ্চার কেন্দার কোনা পাড়ায় রয়েছে বিরল এই পলাশ গাছ। পুরুলিয়া বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুড়া,পুঞ্চা, বান্দোয়ান,বলরামপুর,বাঘমুন্ডি, রঘুনাথপুর এলাকায় একটি ও অযোধ্যা পাহাড়ের২ টি এলাকা মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১৫ টি শ্বেত পলাশের সন্ধান মিলেছে। কেন এই শ্বেত পলাশের প্রতি এত আগ্রহ সকলের ? কেন এত নজরদারি রাখতে হচ্ছে বনদফতরকে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন , এই শ্বেত পলাশ যতটা সুন্দর, ততটাই চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ভূমিকা অনস্বিকার্য। যদিও গবেষণা এখনও চলছে।

শ্বেত পলাশ গাছের সন্ধান পেতেই তৎপর হয় বনদফতর। বনাঞ্চল অনুযায়ী তালিকাভুক্ত করে এই গাছগুলিকে সংরক্ষণ করে রাখতে সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে পুরুলিয়া বনবিভাগ। গাছের চারপাশে কাঁটাতারের ফেন্সিং দিয়ে বনদপ্তর ও প্রশাসনের তরফে চলছে নজরদারি। এই বিরল শ্বেত পলাশকে বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করেছেন জেলা বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.