কোচবিহারেই ১১২ মোট ২৭৭! প্রথম দফায় রাজ্যে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী?
কোচবিহারেই ১১২ কোম্পানি, প্রথম দফা ভোটেই রাজ্যে মোতায়েন ২৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফা ভোটেই রাজ্যে মোতায়েন মোট ২৭৭ কোম্পানি আধা সেনা। সঙ্গে থাকছে ৭৪টি কুইক রেসপন্স টিম বা কিআরটি।
আগেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তি পূর্ণ ভোট পরিচালনার জন্য ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্বাবধানে নির্বাচন করানোর কথা ভাবছিল কমিশন। তা আগেই জানিয়েছিল এনকেটিভি বাংলা। কোথায় কতটা কেন্দ্রীয় বাহিনী? এ বার প্রকাশ্যে।
প্রথম দফা লোকসভা নির্বাচন আগামী ১৯ তারিখ। ভোট হবে ৩ জেলা এবং ১ কমিশনারেটে। শান্তি পূর্ণ ভোট পরিচালনার জন্য ৭৪টি কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন থাকবে। সূত্রের খবর জলপাইগুড়ি ২২টি টিম, আলিপুরদুয়ারে ১৯টি, কোচবিহারে ২৭টি এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে ৬টি টিম থাকবে। প্রত্যেক টিমে ১ সেকশন সশস্ত্র আধা সেনা এবং সঙ্গে এএসআই বা এসআই পদ মর্যাদার ১ জন অফিসার থাকবে। এসপি বা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে এই কুইক রেসপন্স টিমকে কখন কোথায় মোতায়েন করতে হবে তা ঠিক করবে জেলা ইলেকশন অফিস।
প্রথম দফায় জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে ৬ কোম্পানি এবং কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মতায়েন থাকবে।
এ ছাড়াও ১৪ কোম্পানি সশস্ত্র আধা সেনা দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হওয়া পুলিশ জেলাগুলিতে মোতায়েন থাকবে, জেলা প্রতি বা পুলিশ কমিশনারেট প্রতি ১ কোম্পানি আধা সেনা এলাকা ডোমিনেশনের কাজ করবে।
ভোট চলাকালীন যেসব কেন্দ্রে একটি অথবা দুটি বুথ রয়েছে সেখানে বুথ প্রতি একজন করে লাঠিধারি এবং হাফ সেকশান কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কোনও কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি বুথ থাকলে সেখানেও বুথ প্রতি একজন লাঠীধারি, এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ছয় থেকে আটটি বুথ হলে বুথ অনুযায়ী একজন করে লাঠীধারী এবং দেড় সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এছাড়াও থাকছে ১ সেকশন আরটি মোবাইল, পিএস স্ত্রাইকিং ফোর্স, জেলা স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাব ডিভিশনাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। উল্লেখ্য প্রথম দফায় তিনটি কেন্দ্রে মোট ৫৮১৪টি বুথ রয়েছে।