নিউজ ডেস্ক, ২২ নভেম্বর : ৯দিনে ৫ খুন! যখন ইচ্ছে চলছে গুলি। যে কেউ বোমা ছুড়ে দিচ্ছে। ঝরছে একের পর এক প্রাণ। এত দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য হচ্ছে কেন রাজ্যে? প্রশ্নে প্রশাসনের ভূমিকা। আতঙ্কে বঙ্গবাসী।
দিকে দিকে গুলি একাধিক খুন! দিন কিংবা রাত। যেন প্রাণ হাতে নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে বঙ্গবাসীকে। ঘরের সামনেই ভিকি যাদবের নাম জিজ্ঞাসা করে ৯ গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। বাইক চড়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা তার সিসিটিভি ফুটেজ এল প্রকাশ্যে। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে মঙ্গলবার ভর সন্ধ্যের এই ঘটনায় এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
শুধু এই ঘটনা নয়, চলতি নভেম্বর মাসে ১৩ তারিখ থেকে চলছে একের পর এক খুনো-খুনির ঘটনা।
জয়নগরে খুন সইফুদ্দিন লস্কর। পাল্টা গণপ্রহারে খুন হয় সাহাবুদ্দিন লস্করের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছিতে মসজিদ চত্বরেই গুলিতে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে। বাড়ির অদূরেই খুন হন এলাকার জনপ্রিয় এই নেতা। খুনের ঘটনার রেশ গিয়ে পড়ে দলুয়াখাকিতে। তবে তার আগেই গোদাবরা এলাকার সাহাবুদ্দিন লস্করকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে ওই দিন। সন্দেহ, সাহাবুদ্দিন সহ কয়েকজন দুষ্কৃতী খুন করেছে সইফুদ্দিনকে। তাই গণপিটুনিতেই প্রাণ যায় সাহাবুদ্দিনের।
আমডাঙায় পঞ্চায়েত প্রধান খুন। জয়নগর কাণ্ডের ঠিক ৩দিনের মাথায় ভরা বাজারে সন্ধের পর বোমাবাজিতে প্রাণ যায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের। রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের কিনারাও এখনও করতে পারেনি পুলিশ।
পাঁশকুড়ায় খুন ব্যবসায়ী। আমডাঙার ঘটনার ৪দিনের মাথায় পাঁশকুড়ার উত্তর জিঁয়াদায় খুন সোনা ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনা ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় এখনও অধরা খুনিরা।
জগদ্দলে খুন তৃণমূল কর্মী। পাঁশকুড়ার ঘটনার রাত পার হতেই ফের এক খুন। আবারও জগদ্দলে রক্ত ঝরল। জগদ্দলের ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান শ্রী হরি পান্ডেও।
শুধুমাত্র গত ১৩ নভেম্বর থেকে ৯দিনে ৫টি প্রাণ চলে গেছে।
১৩ নভেম্বর
তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন
১৩ নভেম্বর
সইফুদ্দিনকে খুনের অভিযোগ, গণপ্রহারে খুন সাহাবুদ্দিন লস্কর
১৬ নভেম্বর
আমডাঙায় বোমাবাজিতে খুন তৃণমূল প্রধান
২০নভেম্বর
পাঁশকুড়ায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন ব্যবসায়ী
২১নভেম্বর
জগদ্দলে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন
কিন্তু জয়নগরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কয়েকনজকে পাকড়াও করা গেলেও। বাকি ঘটনায় অধরা দুষ্কৃতীরা। বঙ্গে কি ঘর কিংবা রাস্তায় জীবনের ঝুঁকিই ভরসা জনতার? কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কোথাও সুপারি কিলার দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠছে। এত গুলি, বোমার রমরমা কীভাবে হচ্ছে বঙ্গে?