বেলুন দিয়ে সাজানো হচ্ছে আইনজীবীদের চেম্বার। আনা হচ্ছে কেক। রঙিন কাগজ, রঙচঙে টুপি, টেডি বিয়ার, পুতুল কি নেই সেখানে। চলছে জন্মদিনের পার্টি। গোলাপি ফ্রক পরে কেক কাটছে ছোট্ট প্রিন্সেস। ছবিটা বনগাঁ আদালতের। না, জন্মদিনের সেলিব্রেশন নতুন কিছু নয়। তবে কোর্টে জন্মদিন? হ্যাঁ, এবার সেইটাই হল বনগাঁ আদালতে।
বছর দুয়েক ধরে চলছে ডিভোর্সের মামলা। ছোট্ট মেয়ের জন্মদিন পালন করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বাবা। মিলল অনুমতিও। কোর্ট চত্বরেই ধুমধাম করে পালন হল জন্মদিন। ব্যস্ত দিনে কাজের ফাঁকে অন্যরকম ছবি বনগাঁ আদালতে।
২০২২ থেকে ডিভোর্সের মামলা চলছে শম্ভুনাথ পাল ও শিপ্রা পাল বিশ্বাসের। তাঁদের মেয়ে সুনয়নার ৪ বছরের জন্মদিন পালন করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা। কোর্ট চত্বরেই জন্মদিন পালনের অনুমতি দেন বিচারক। বাবা শম্ভুনাথ পাল পেশায় হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ভিএলই পদে কর্মরত। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলায় মেয়ে থাকে মায়ের কাছেই। এদিন প্রায় সাত মাস পর মেয়েকে কোলে নিয়ে আবেগে ভাসলেন বাবা। মেয়ের কথা ভেবে এই নিয়ে আর আপত্তি করেননি মা শিপ্রা পাল বিশ্বাস।
২ বছর ধরে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। তারই মধ্যে এই ধরণের একটা ঘটনায় খুশি আইনজীবীরাও। আইনের কড়া মার প্যাঁচের মধ্যে থেকে সময় বের করে আদালত চত্বরে অনুষ্ঠানে সামিল হলেন সবাই।
আদালত চত্বরে হঠাৎ অন্যরকম একটা ছবি দেখে ভিড় জমালেন কাজে আসা মানুষরাও। ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন কোর্টে মেয়ের জন্মদিন পালনের অনুমতি দিয়ে সমাজে বড় বার্তা দিলেন বনগাঁ আদালতের বিচারপতি। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।