এবারও বিতর্ক এড়াল না প্রথম দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষা। অত্যাধুনিক ব্যবস্থাতেও ফাঁস হল মাধ্যমিকের প্রশ্ন। ধরাও পড়ল অভিযুক্তরা। মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষায় শুরুর দিনেই বিপত্তি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ভাইরাল হয়েছিল প্রশ্নপ্রত্র। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হল। তবে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ফোন নিয়ে প্রবেশ করল অভিযুক্তরা?
প্রথম দিনেই ফাঁস মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। আর প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে দুপুর ১২টার পর। কোথায় থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল, তা চিহ্নিত করে পর্ষদ। জানা যায় মালদার ২টি স্কুল থেকে এই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, আসল প্রশ্নপত্র ও ভাইরাল প্রশ্নপত্রের ছবি হুবহু একই। ওই প্রশ্নপত্রে থাকা কিউ আর কোড দেখেই পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা হয়। পরীক্ষা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি সামনে আনলেন কোথা থেকে কোন ছাত্ররা এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল?
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, লখিমপুর ও ইংরেজবাজার দুই জায়গা থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেরিয়েছিল। এক জন ন’ঘরিয়া হাইস্কুলের ছাত্র। আরেকজন চামাগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র। এই দুই ছাত্র প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেছিল। এই বছর ওই দুই ছাত্র আর পরীক্ষা দিতে পারবে না।
প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষাকেন্দ্রে ফোন নিয়ে কীভাবে বসলেন মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার্থীরা। যদিও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই কার্যত ফুল মার্কস পেল পর্ষদের সেই ব্যবস্থা। তবে ঠেকানো গেল না প্রশ্ন ফাঁস।