রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছয় অধ্যাপককে নিয়ে বৈঠক করার কথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। কিন্তু অভিযোগ বৈঠকে উপস্থিতই ছিলেন না আচার্য। এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
উপাচার্য নিয়োগ জট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য ও রাজ্যপাল টানাপোড়েন চলছে। সংঘাত আবহেই শনিবার সকাল ১১ টায় রাজভবনে বৈঠক ডাকেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী রঞ্জন চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন না যাদবপুরের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও দীপঙ্কর সিনহা।
এদিকে বৈঠকের পরই পাল্টা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুর চড়িয়েছেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী লেখেন, আচার্য যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের রাজভবনে আজ ডেকেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেখাই করেননি তিনি। বরং, আচার্যের কিছু সরকারি আধিকারিক উপস্থিত থাকা শিক্ষাবিদদের একতরফাভাবে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। আচার্য তাঁর আচরণের মাধ্যমে কেবল আমাদের চিরাচরিত রীতিকে অপমান করেছেন এমনটাই নয়, তিনি আমাদের রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের অপমানও করেছেন। এই ভাবে তিনি বাংলার শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ব্যবহার করেন! #লজ্জা!
শুক্রবার রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, একতরফাভাবে উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেছে রাজ্য। রাজ্যপালকেই অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগে আবেদন জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত ১৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তারপরেই দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটরমনির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এরপর রাজ্য সরকারের পাঠানো ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মধ্যে ৬টি নামে সিলমোহর দেয় রাজভবন। বাকি ২৫ জনের নাম খারিজ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। শনিবারের বৈঠক তরজায় কার্যত সেই সংঘাত এখনও জারি থাকল।