জয়নগরের বামুনের চকের বাসিন্দা মুনমুন মোল্লা। এলাকায় তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিত তিনি। একটি সংস্থায় চাকরির জন্য মঙ্গলবার কয়েকজন যুবককে নিয়ে মেডিকেল টেস্ট করাতে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে আসেন মুনমুন। কিন্তু যথাযথই সেই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় পরে। অপেক্ষা করতে হচ্ছিল তৃণমূল নেত্রীকে। এদিকে রোগীর ভিড় থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাদের মেডিকেল টেস্ট করতে পারেননি। তাতেই ক্ষিপ্ত হন শাসক দলের নেত্রী। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন তিনি। হাসপাতালে দাদাগিরির অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে শাসক দলের নেত্রী বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ঢুকে এক চিকিৎসককে হুমকি দেন। তাঁর চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
হাসপাতালে সেখানে সবার সমান অধিকার, তাই তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণে রুখে দাঁড়ান অন্য রোগীরা। ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অভিজিৎ নস্কর এবং উপস্থিত রুগীরাই বিষয়টি জানায় বারুইপুর থানায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে চলে আসে পুলিশ। চিকিৎসকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় উপস্থিত বাসিন্দাড়াই রুখে দাঁড়ায়। ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে বারুইপুর থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে আটক করার পর তিনি হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তিনি দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। বারুইপুর হাসপাতালের সুপারের দাবি, চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন তা প্রশংসনীয়।