খড়্গপুর, ১১ এপ্রিল: খড়্গপুর শহরের রেলওয়ে যে বাংলোতে দিলীপ ঘোষ থাকতেন। সেখান থেকে তাঁকে উৎখাতের চিঠি দিয়েছে রেলওয়ে ৷ সেই সঙ্গে যার নামে ওই বাংলো বরাদ্দ ছিল তাঁকে শোকজ করে ১৭ এপ্রিল বেলা ১ টার মধ্যে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে খড়্গপুর ডিভিশনের রেলওয়ে কর্তারা ৷ নোটিস পাঠিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুরের এস্টেট অফিসার এম টি জোসেফ। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি ও দিলীপ ঘোষ ৷
খড়্গপুর শহরে সাউথ সাইড এলাকার বেশিরভাগ অংশই রেলওয়ের জায়গা ৷ সেখানেই রেলওয়ের একটি পুরনো বাংলো রয়েছে রেলওয়ে অফিসারদের জন্য ৷ ৬৭৭ নম্বর বাংলোটি রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির সদস্য কোনও এক ব্যাক্তি তুষার কান্তি ঘোষের নামে বরাদ্দ করা হয়েছিল বছর কয়েক আগে ৷ কিন্তু তাঁকে দেওয়া বরাতের সেই বাংলোতে থাকছিলেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ ২০১৭ সাল থেকে দিলীপ ঘোষ সেখানে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রের দাবি, তুষার কান্তি ঘোষই দিলীপ বাবুকে নিজের নামের সেই বাংলোয় থাকতে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তুষার বাবুর নিজের নামে বরাত পাওয়া সেই বাংলোর বরাত শেষ হয়ে যায় ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ৷ কিন্তু তা কেউই জানতেন না ৷ সেখানেই দিলীপ ঘোষ সাংসদ কার্যালয় চালিয়েছেন ৫ বছর ধরে ৷ সাংসদ পদ যাওয়ার পরে সেখানেই দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের মতো ব্যবহার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ৷
প্রসঙ্গত, খড়্গপুর শহরে বরাদ্দ ৬৭৭ নম্বর এই বাংলোটিতে তুষারকান্তিবাবুর থাকার মেয়াদ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যায়। রেলের ওই কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর একাধিকবার রেলের তরফে নোটিস দেওয়া হলেও, বাংলোর দখল ছাড়া হয়নি। তুষারবাবুর বাড়ি কলকাতার কালীঘাট রোডে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী দাবি করেন, দিলীপবাবু অবৈধভাবে বাংলো দখল করে আছেন। দেবাশিস তাঁর দাবির সমর্থনে ‘তথ্য জানার অধিকার’ আইনে রেলের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্র-তথ্য সামনে এনেছিলেন।
Comments are closed.