ভোটপুজোতে ঢাকের বাদ্যি, বাড়তি রোজগারে খুশির হাওয়া ঢাকি মহলে

0 67

দুর্গাপুজো, কালীপুজো নয় এবার ভোটপুজোতেও চাহিদা বেড়েছে ঢাকিদের। তৃণমূল, বিজেপি কিংবা সিপিএম, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারে এখন প্রধান আকর্ষণ ঢাক। ব্যারাকপুরে লোকসভা নির্বাচনের আবহে বাড়তি রোজগারে খুশির হাওয়া ঢাকি মহলে।  

ঢাকের বাদ্যি শুনলেই মনটা যেন পুজো পুজো বলে নেচে ওঠে। কী ভাবছেন? পুজোর আয়োজন তাই বাজছে ঢাক? কাশ ফুলের গন্ধ, পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর শরৎকাল। সচরাচর এই ছবিতেই অভ্যস্ত বঙ্গবাসী। অবশ্য এখনও ঢাক বাজলে ফুলের কথাই মনে পড়ছে। তবে ছবিটা যেন একটু আলাদা। পুজোর মরশুম নয়, চলছে গণতন্ত্রের উৎসব। তাই সেখানে কাশ ফুল নয় বরং তার বদলে জায়গা নিয়েছে ঘাসফুল আর পদ্মফুল। ভোট উৎসবের প্রচারে এবার ঢাকিদের চাহিদা তুঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে ঢাক।

ভোটের মরসুমে ঢাকিদের ডাক পড়ায় খুশি ঝন্টু বরাল। NKTV বাংলাকে তিনি জানান, ‘আমাদের সংসার চালাতে নানা কাজ করতে হয়। পুজোর সময় ছাড়াও অনান্য যখন যেখানে ডাক পরে গিয়ে কাজ করি, ঢাক বাজাই। ১০০০, ২০০০, ৩০০০টাকা যা পাই সেই দিয়েই সংসার চালাই। এখন ভোটের প্রচারে ঢাকের চাহিদা বাড়ায় বাড়তি রোজগারে সুবিধা হয়েছে।’

ঢাকি সোহাগ বরাল জানান, ‘আমাদের যে দল ডাকে আমরা তাদের হয়েই ঢাক বাজাতে যাই। বাড়তি রোজগার হলে সংসার চালাতে সুবিধা হয়। তা ছাড়া আমাদের এই সব বাদ্য যন্ত্র ঠিক করে রাখতে সাড়াতেও টাকা লাগে। তাই ১০০০, ২০০০ যখন যেখানে যা পাওয়া যায় তাতে আমাদের সুবিধাই হয়। আমরা সেই টাকায় আমাদের বাদ্যযন্ত্র মেরামত করতে পারি।’   

ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ঢাকিরা এসেছেন। অকাল বোধনের মতো অসময়ে ভালো রোজগারে হাসি ফুটেছে ঢাকি মহলে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.