বর্ষার শুরুতেই রাজ্যে ফের ডেঙ্গির চোখরাঙানি। ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির সংখ্যা। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে জেলায় জেলায় হাসপাতালে আসছেন অনেকেই। হাসপাতালের বহির্বিভাগে লম্বা লাইন। জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যে ১২৭০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি ঠেকাতে সক্রিয় প্রশাসন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যে ১২৭০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হুগলি ও কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩২ ও ১৫৩। কলকাতা শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ১১২ জন।
বর্ষার শুরুতেই অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে অনেকেই আসছেন হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ডেঙ্গির মতো উপসর্গ নিয়ে বসিরহাটেই প্রায় ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি। মশার উপদ্রব ও জল জমার কারণে আতঙ্কে ভুগছে মানুষ।
বর্ষা ও স্যাঁতসেতে আবহাওয়ার কারণেই জ্বর-সর্দির সমস্যা বলছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান হাওড়া পুরসভার। শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় মিলেছে এডিশ মশার লার্ভা। বাড়িতে ও নির্মিয়মাণ ফ্ল্যাটেও মিলেছে মশার লার্ভা। পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরের বাসিন্দারা।
ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে হলে মানুষকেই সচেতন হতে হবে বলছেন হাওড়ার পুর প্রশাসক। ডেঙ্গি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।
পুজোর আগে ডেঙ্গি এক নতুন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বর্ষার শুরুতেই যেভাবে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাতে আতঙ্কিত মানুষ।