আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। প্রশ্ন ছাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে। তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরজিকর কাণ্ডের কিনারা।
আরজি করের ঘটনায় ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবিও জানানো হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে আরজি কর হাসপাতালে বিক্ষোভ চলছে। প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে পথে নেমেছেন ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
গ্রেফতার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বহিরাগত হলেও সঞ্জয় রায় নামে ওই ব্যক্তির হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত চলতো। খবর পুলিশ সূত্রে। রাতের ডিউটিতে থাকা ২৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের। সেই সূত্রেই মেলে সঞ্জয়ের নাম। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়ায় গ্রেফতার করে তাকে।
সেমিনার হলে উদ্ধার হেডফোন। সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও সঞ্জয়। হেডফোন ধৃতের? ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। খবর লালবাজার সূত্রে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক একের পর এক হাসপাতালে। কর্মবিরতি সিএনএমসি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, এসএসকেএমও। কর্মবিরতি জেলার হাসাপাতালেও। আরজি করের ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি পরিষেবা সচল রেখে বাকি পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা।