নিউজ ডেস্ক, ৪ ডিসেম্বর : বছর শেষে ফের ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল মিগজাউম। এর জেরে দক্ষিণ ভারতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চেন্নাইতে এই ঘূর্ণিঝড়ের বলি ৫ জন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে চেন্নাইয়ে কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু। মঙ্গলবার সকালে ল্যন্ডফল মিগজাউমের। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দৌত্যে পরিরণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে এটাই সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের বুক চিড়ে উপকূল ঘেঁষে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে এগোনোর পথে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর পর ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণে ও তামিলনাড়ুর উত্তরে মঙ্গলবার আছড়ে পড়বে।
অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনমের মধ্যে ল্যান্ডফল। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে মিগজাউম। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। চেন্নাইয়ে অতি ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপন্ন। ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
এদিকে, বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না। পুরোপুরি মেঘলা থাকবে আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা ১১ জেলাতে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই চেন্নাই, চেঙ্গালপেট, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর সহ একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর অবধি ভারী বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। ভাসছে একাধিক এলাকা। বৃষ্টির জলে রাস্তা পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। ডুবে গিয়েছে আন্ডারপাস। বৃষ্টির জলের তোড়ে রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। বিমান বন্দরে রানওয়ে ডুবেছে বৃষ্টির জলে। এক কথায় বিপর্যস্ত চেন্নাইয়ের জনজীবন। বিপর্যয় মোকাবিলায় তামিলনাড়ু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৪টি দল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ৯টি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এনডিআরএফের তরফে মোট ২১টি দল পাঠানো হয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ ও পুদুচেরিতে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল ৩-৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ু থেকে ১১৮টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে।