করিমগঞ্জ জেলায় প্ৰতি রাতেই চলছে কালবৈশাখীর তাণ্ডব। শনিবার রাতেও হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে প্রশাসনের কর্তারা সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।করিমগঞ্জ জেলায় গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পরপরই ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। শনিবারও রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। তুমুল হাওয়ায় ভেঙে পড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি। ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণ করিমগঞ্জের নিলামবাজার রাজস্ব সার্কেল এবং উত্তর করিমগঞ্জের পাথু- মহিশাসন পঞ্চায়েত এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাথু মহিশাসন পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বাড়িতে ঘরের উপরে ভেঙে পড়েছে প্রকাণ্ড গাছ। এতে অবশ্য সৌভাগ্যক্রমে ঘরের কেউ আহত হননি।
প্ৰকৃতির এই তাণ্ডবলীলায় অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। তবে, এদিনের ঝড়ের তাণ্ডবে প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হলেও কোনও হতাহতের খবর নেই। পাথু মহিশাসন এলাকায় রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কালবৈশাখী। ঘর ভেঙে পড়ায় গুরুতর সঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ গ্রামবাসীরা। করিমগঞ্জের উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলে এদিন তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খোঁজ খবর করতে সময়ে উপস্থিত হননি প্রশাসনের কর্তারা। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ জমেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে গ্রামবাসী।