ডাক্তার আসেন না, সরকারি হাসপাতালে রোগী দেখছেন কম্পাউন্ডার! ওষুধ কিনতে হয় তাঁর দোকান থেকেই

0 88

জলপাইগুড়ি : স্থায়ী চিকিৎসক নেই, তাই রোগী দেখা থেকে শুরু করে প্রেসক্রিপশন লিখছেন হাসপাতালের কমপাউন্ডার। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না। সবে মাত্র শেষ হয়েছে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় রাজ্যের তিন কেন্দ্রের মধ্যে ছিল জলপাইগুড়িও। এ বার সেই জলপাইগুড়ির অন্য চিত্র ধরা পড়ল।

জলপাইগুড়ির জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের কালিনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দিনে প্রায় শতাধিকের উপর রোগীরা আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামোর যেন বড্ড অভাব।  অভিযোগ,  হাসপাতালের স্থায়ী কোনো চিকিৎসক নেই। আসলেও তা মাসে দু-একবার। বতর্মানে তাই রোগী দেখা থেকে শুরু করে প্রেসক্রিপশন লিখছেন হাসপাতালের কমপাউন্ডার  সুভাষ চন্দ্র মন্ডল।

এ দিকে চিকিৎসক না থাকার সুযোগকে হাতিয়ার করে ব‍্যবসায় নেমেছেন সেই কমপাউন্ডার। অভিযোগ, কমপাউন্ডারের লেখা অনেক  ওষুধ হাসপাতালে পাওয়া যায় না। রোগীদের  সেই ওষুধ কিনে আনতে হয় কমপাউন্ডারের থাকা ওষুধের দোকান থেকে। এখানেই  শেষ নয়,  রীতিমতো প্রাইভেট চেম্বার খুলে বসেছেন সেই কম্পাউন্ডার। সকাল থেকে হাসপাতালে রোগী দেখলেও বিকেলে বসেন সেই প্রাইভেট চেম্বারে। চিকিৎসক না থাকায় বাধ্য হয়েই তার কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন রোগীরা।

যদিও সেই কমপান্ডারের দাবি,  চিকিৎসকেরা আসেন। কিন্তু রোগীরা বলছেন অন‍্য কথা। এই প্রসঙ্গে ব্লকের স্বাস্থ‍্য আধিকারিককে ফোন করা হলে তিনি বলেন ডাক্তারবাবু তো সপ্তাহে পাঁচ দিন সেখানে বসেন। এমন অভিযোগ আমার কাছে নেই। যদি অভিযোগ হয় তবে খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এখন প্রশ্ন একটা  স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসক ছাড়াই চলছে অথচ তা জানেন না ব্লক স্বাস্থ‍্য আধিকারিক। শুধু খতিয়ে দেখেই কি দায় সারলেন তিনি। প্রশ্ন থেকেই যায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.