ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: পহেলগাঁও হামলার ক্ষত এখনও টাটকা, তার মধ্যেই ফের রক্তাক্ত হল কাশ্মীর। এবার ঘরে ঢুকে একজন সাধারণ কাশ্মীরিকে হত্যা করল জেহাদিরা। কূপওয়াড়ায় শনিবার রাতের এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপত্যকায়।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটেছে। সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ হামলার প্রতিশোধ নিতে উপত্যকাজুড়ে পুলিশ ও সেনা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং জায়গায়-জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। এর মধ্যেই এক সমাজকর্মীকে তার বাড়িতে ঢুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি সন্ত্রাসবাদীদের কাজ হিসেবেই মনে করা হচ্ছে।
মৃতের নাম ঘুলাম রসুল মাগরে, বয়স ৪৫ বছর। তিনি এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ, কান্দি খাস এলাকায় তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় জেহাদিরা। গুলিবিদ্ধ হন ঘুলাম, এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। ঘুলামকে কেন টার্গেট করা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রবিবারও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর পাক সরকার শিমলা চুক্তি অমান্য করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে পাকিস্তান। রবিবার সকালেও সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালানো হয়। সেনার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “২৬-২৭ তারিখের রাতে পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলি থেকে বিনা প্ররোচনায় ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। টুটমারি গলি এবং রামপুর সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে।” পাক হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
Comments are closed.