ডিজিটাল ডেস্ক, ১৪ এপ্রিল: আদালত সূত্রে খবর, আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝা মামলাটি করেছেন শীর্ষ আদালতে। তাঁর আর্জি, মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হওয়া জরুরি। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই একটি বিশেষ দল সেই তদন্ত করুক।
ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদ। বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ, অগ্নি সংযোগ, সাধারণ মানুষকে যখন ধর্মের নামে অশান্তি না ছড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন পাল্টা সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরাও। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন সাড়়া দিয়ে মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি আজ সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (Javed Shamim) জানালেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সবরকম চেষ্টা চলছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় নতুন করে কোথাও কোনও রকম উত্তেজনা ছড়ায়নি। ওয়াকফ-অশান্তির জেরে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য ইতিমধ্যে ২০০-র বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়ছে এফআইআরের সংখ্যাও। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এডিজি আইনশৃঙ্খলার স্পষ্ট বক্তব্য, যারা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যে যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের প্রত্যেককে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।
এরই সঙ্গে জাভেদ শামিম আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মানসিকভাবে মানুষ স্বাভাবিক হতে পারছেন না ভুল খবরের জন্য। লাগাতার ভুয়ো ছড়ানোর চেষ্টা করছে একদল। সেগুলি বিশ্বাস করে মানুষ আরও বিপদে পড়ছেন। যারা এই ধরনের কাজ করছেন তাদেরকেও কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। নানা জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি সূত্রে দাবি, মৃত্যুও হয়েছে অন্তত তিন জনের। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তারা জেলার উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।
Comments are closed.