আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। আরজি করে মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। আর সেই সঙ্গেই লম্বা ছুটিতে গেলেন সন্দীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় আরজি করের চিকিৎসক খুনের ঘটনার বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলার। শুনানিতে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মোট ৮টি মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। সওয়াল জবাব পর্বে বিচারপতি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেন,
‘দুপুর ৩ টের মধ্যে স্বেচ্ছায় লম্বা ছুটিতে যান সন্দীপ ঘোষ’
এর পর নিজে থেকেই স্বাস্থ্যভবনে ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়ে দেন সন্দীপ। আপাতত ছুটিতেই যাচ্ছেন সন্দীপ। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মূলত তিনটি আবেদন করা হয়েছিল হাই কোর্টে। তার মধ্যে প্রধান হল নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো।
আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির। রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দিতে হবে। সংগৃহীত সব সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩ সপ্তাহ পর আবার মামলার শুনানি। আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি নয় তৃণমূল। তাদের দাবি, সিবিআই এই মুহুর্তে রাজ্যের যে সব মামলার তদন্ত করছে তা এগোয়নি। মঙ্গলবার আদালতে আবেদনকারীদের আর্জি, সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক। যে সংস্থার উপর রাজ্যের প্রভাব থাকবে না। এ ছাড়াও ওই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, অবিলম্বে তদন্ত করে তা প্রকাশ্যে আনার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা। তাঁরা চান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক আদালত। সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর আবেদনও জানানো হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, হাসপাতালের প্রতিটি তলার মূল প্রবেশপথে যাতে সিসিটিভি থাকে, তা নিশ্চিত করা হোক।