ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: ৯০ ঘণ্টার মধ্যে তিনবার বৈঠক হলেও, পাকিস্তানে আটকে পড়া বিএসএফ জওয়ান পূর্নমকুমার সাউকে ফেরানোর বিষয়ে কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে আসা বিএসএফ জওয়ান সম্পর্কে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। আরও দাবি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া বাংলার এই জওয়ানকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
সূত্রের খবর, বুধবার বিকেল থেকে বিএসএফ আশা করছে যে পাকিস্তান হয়তো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত এই ইস্যুতে তিনবার বৈঠক হয়েছে বিএসএফ এবং পাক রেঞ্জার্সের উচ্চ আধিকারিকদের মধ্যে। তবে সেই বৈঠকে পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা নাকি বুঝতেই পারেন নি কেন বৈঠক ডাকা হয়েছে। পূর্ণমকুমারের অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে পাক রেঞ্জার্স জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই এবং তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তারা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। যদিও বিএসএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষ বা পাক রেঞ্জার্সের সদস্যদের ভারত সবসময় ফেরত পাঠায়।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে পোস্টিংয়ে ছিলেন হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পূর্নমকুমার সাউ। বুধবার বিকেলে ‘ভুল করে’ তিনি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন। এরপর তাঁকে আটক করে পাকিস্তানি সেনা। দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন, সুস্থ আছেন কি না, অথবা তিনি কোনও অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন কিনা— এসব নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার বিএসএফের এক দল আধিকারিক রিষড়ার বাড়িতে যান এবং আশ্বাস দেন যে, পূর্নমকুমার সাউকে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে এসব মৌখিক আশ্বাসে আর ভরসা রাখতে নারাজ পূর্ণমকুমারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ। তাই তিনি রবিবার পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে পাঠানকোট রওনা দিচ্ছেন। সেখানে তথ্য না পেলে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রের কাছে স্বামীর খোঁজ জানতে চান রজনীদেবী।
Comments are closed.