Alka Yagnik: শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন অলকা ইয়াগনিক, আক্রান্ত বিরল স্নায়ুর রোগে! সমাজমাধ্যমে পোস্ট গায়িকার
শ্রবণ শক্তি হারাতে বসেছেন বলি গায়িকা। অলকা ইয়াগনিক, নামটাই যথেষ্ট। তাঁর সুরেলা কন্ঠে মন মজেছে ভারতীয় থেকে বিদেশীদেরও। কিন্তু তিনি নাকি হারাতে বসেছেন শ্রবণশক্তি। আচমকাই আংশিক শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে থেকে বেশ কয়েকদিন ধরেই একটু বিরতি নিয়েছেন বলি গায়িকা।
কিন্তু সোমবার রাতে নিজেই সমাজমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন অলকা। তিনি এও জানান শ্রবণশক্তি আচমকা হারিয়ে ফেললে জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠত পারে। নিজের অনুরাগীদের সতর্ক করে তাঁর অনুরোধ, সারাক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে চড়া স্বরে গান না শোনাই ভাল। তা শ্রবণক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করে অলকা জানান কয়েক সপ্তাহ আগে আচমকা এক দিন বিমান থেকে নেমে দেখেন, তিনি কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না! গায়িকা ভয় পেয়ে যান। তিনি যোগাযোগ করেন চিকিৎসকের সঙ্গে। চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েছেন, অলকা বিরল স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত। অনেক সময় অচেনা জীবাণুর আক্রমণ প্রতিহত করতে শরীর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। যার সাময়িক প্রভাব অন্য প্রত্যঙ্গে পড়তে পারে। গায়িকার ক্ষেত্রেও নাকি সেটাই হয়েছে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে গায়িকা জানিয়েছেন, একটি বিরল স্নায়ুজনিত সমস্যায় আক্রান্ত তিনি। সেই রোগের কারণে তাঁর শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। গায়িকা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে বিমান থেকে নামার সময়ে মনে হয় যে, আমি কানে কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। তার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জানতে পারি, ভাইরাসের আক্রমণের কারণে একটি বিরল স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছি। এই সমস্যার কারণে আমার শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে। এটা আমার কাছে বড় ধাক্কা। আমি সমস্যাটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। দয়া করে আপনারা অমার জন্য প্রার্থনা করুন।’
হঠাৎ করে এই ঘটনায় তিনি এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েন যে সাময়িক ভাবে নিজেকে সব কিছু থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কারণ, একজন গায়িকার কাছে কণ্ঠস্বরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ শ্রবণশক্তির। কানে ঠিকমতো না শুনতে পেলে কী করে তিনি গাইবেন? আর গানের বাইরে কিছু ভাবতেই পারেন না তিনি! সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘চিকিৎসার পাশাপাশি মনের জোর ফেরাতেও কিছুটা সময় লেগেছে। অবশেষে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে আবার আপনাদের মুখোমুখি।’
‘সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’ আসলে কী?
‘সাডেন সেনসারি নিউরাল হিয়ারিং লস’ আক্রান্ত হলে রোগী হঠাৎই একটি কানে শুনতে পান না। এই সমস্যার ক্ষেত্রে রোগী একটি কানের শ্রবণশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতে পারেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক ভাবেও শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন রোগী। কখনও কখনও এই রোগ ব্রেন টিউমারের কারণেও হতে পারে।
কেন হয় ‘সাডেন নিউরাল হিয়ারিং লস’?
এই রোগ মূলত দু’টি কারণে হতে পারে। প্রথমত, শরীরে কোনও ভাইরাস আক্রমণ করলে শরীর তার বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডিগুলি তৈরি করে, সেগুলি কখনও কখনও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করে। সেই ভাবেই কানের স্নায়ুকে আক্রমণ করতে পারে সেই অ্যান্টিবডি। ফলে কেউ শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন। অথবা কোনও মাইক্রো স্ট্রোকের কারণেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এই সমস্যা সাধারণত একটু বয়স্কদের হয়ে থাকে।