ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল: কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিহত কলকাতার দুই যুবকের দেহ বুধবার রাত ৮টা নাগাদ পৌঁছায় দমদমের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বেহালার সখেরবাজারের সমীর গুহ এবং পাটুলির বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্রের দেহ রাঁচী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছনোর কথা রয়েছে।
বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ কয়েক দিন আগেই পরিবারসহ ঘুরতে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। বুধবার তাঁদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ফিরলেনও—কিন্তু নিথর দেহে, কফিনে শায়িত হয়ে। তাঁর স্ত্রী শবরীকে ফিরতে হল স্বামীর কফিন সঙ্গে নিয়েই। মঙ্গলবার, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের নির্বিচার গুলিচালনায় প্রাণ হারান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সমীর।
পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী স্ত্রী সোহিনী ও সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে ফোন করে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখনও পাহাড়ঘেরা প্রকৃতির মাঝে আনন্দে সময় কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। সোহিনীর চোখের সামনেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান বিতান। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর দেহ কলকাতায় ফিরে আসে। বিমানবন্দরে স্বামীর কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে, চোখের জলে ভেঙে পড়ে সোহিনী বললেন, “ওর চোখের সামনেই ওর বাবাকে খুন করেছে।”
বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল কলকাতার দুই বাসিন্দা সমীর গুহ ও বিতান অধিকারীর মরদেহবাহী বিমানের। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই বিমানটি দমদমে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে তাঁদের মরদেহ শববাহী গাড়িতে করে পরিবারের উদ্দেশে রওনা হয়।
Comments are closed.