রাতের অন্ধকারে একাধিক বিজেপি কর্মীকে লাঠি, রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সবং থানা ঘেরাও করল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
বিজেপির অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার রাতে সবং থানার অন্তর্গত দশকগ্রাম অঞ্চলের কোলন্দা,রাউতরাবাড়ি, বিলকুয়া সহ একাধিক এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের রড,লাঠি নিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির আরো অভিযোগ পুলিশের উপস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর আজ সকালে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা থানার গেটে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ কেউ শুয়ে এবং কেউ বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ?
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এ ব্যাপারে অঞ্চল সভাপতি অতনু সিং বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। বিজেপি আসিত দুষ্কৃতীরা গতকাল রাতে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসিন্দাদের চমকা ছিল সেই সময় এলাকার বাসিন্দারা তাদেরকে মারধর করেছে।। এটা সম্পূর্ণ গ্রাম্য ব্যাপার এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা চত্বরে উত্তেজনরা রয়েছে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
যতই দক্ষিণ বঙ্গে ভোট প্রবেশ করছে ততই যেন রাজ্য জুড়ে বাড়ছে রাজনীতির পারদ। প্রথম তিন দফায় কয়েকটি বিছিন্ন ঘটনা বাদে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও চতুর্থ দফাতেও সম্পূর্ণ অন্য চিত্র দেখেছে বাংলা। দিনভর অশান্তি বেধড়ক মার, রক্তপাত, ছাপ্পা ভোটে ভরপুর ছিল চতুর্থ দফা। আর তার সঙ্গেই যেন বেড়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাও।