অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাব! ৫৪৩ কেন্দ্রে কাজের ক্ষতিয়ান দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ বিজেপির
অভিষেকের চ্যালেঞ্জ মেনেই শ্বেতপত্র প্রকাশ বিজেপির। অবশেষে সামনে এল শ্বেতপত্র। এই বিষয়ে ‘শ্বেতপত্র ডট ইন’ নামক একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে। সেখানেই সারা দেশের কোন রাজ্যের কোন লোকসভা কেন্দ্রে কোন প্রকল্পে কতটা কাজ হয়েছে তার ক্ষতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। পোর্টালে ঢুকে রাজ্য এবং লোকসভা কেন্দ্রের নাম দিলে সেই তথ্য দেখা যাচ্ছে।
সেখানেই তিনটি ভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের ক্ষতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিয়ো, গ্রাফিক্স এবং ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মোদী সরকারের আমলে কোন প্রকল্পের অধীনে কী কী কাজ হয়েছে। এমনকি এই সব গ্রাফিক্স বা ভিডিয়োগুলির নিজের সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার সুবিধা রয়েছে। চাইলে নিজেই পরিবর্তন করতে পারবেন গ্রাফিক্স কার্ডের রং। সেখানেই উত্তরপ্রদেশের রায়বড়েলি থেকে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মণ্ড হারবার ৫৪৩ টি লোকসভা কেন্দ্রের সবিস্তার তথ্য রয়েছে। যে কেউ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে কী কী কাজ হয়েছে তা দেখতে পারবেন। এই সব তথ্য সঠিক বলে দাবি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেই বারবার রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকি ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকাও বাংলায় আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। ভোটের আগে বাজটেও সেই যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রের বকেয়া স্ব প্রকল্পের সব টাকা রাজ্য সরকার দিয়ে দেবে জানানো হয়।
এরপরেই ভোট প্রচারের সময় সেই নিয়ে বিজেপিকে বার বার তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান অভিষেক। সেই নিয়ে নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে ১৪ মার্চ একটি পোস্ট করেন অভিষেক। সেখানেই তিনি বিজেপিকে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। ২৮ মার্চ এই নিয়ে আবারও এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতৃত্বকে খোচা দিয়েছিলেন অভিষেক।
এই নিয়ে পালটা বিজেপির মুখপাত্র শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করার জন্য। এ কথা তো রাজ্য সরকারের সচিবেরা কেন্দ্র সরকারকে বলতে পারলেন না! আদালতে বলতে পারলেন না।’