এ যেন আস্ত ওয়েব সিরিজ! সাংসদের রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে জড়িয়ে রহস্য! যেকোনও থ্রিলার সিরিজকে হার মানাতে পারে এই হত্যাকাণ্ড! সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে কার্যত চোখ কপালে তুললেন সিআইডি কর্তারা!
বাংলাদেশের সাংসদ খুনের নেপথ্যে রহস্যময়ী নারী! প্রায় দুমাস আগে থেকে সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে খুনের চক্রান্ত! খুনের পর হলুদ মাখিয়ে কিমা করা হয় সাংসদের দেহ! তদন্তে নেমে এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল সিআইডির হাতে।
১৩ মে নিউটাউনের অভিজাত আবাসনে খুন হন আনোয়ারুল। প্রথমে মুখে বালিশ দিয়ে চাপা, তারপর গলা টিপে সাংসদকে হত্যা। খুনের পর চপার দিয়ে টুকরো টুকরো কিমা করা হয় দেহ। গন্ধ ঢাকতে ছাড়ানো হয় দেহের চামড়া, মাখানো হয় হলুদ, দেওয়া হয় রান্নার মশলাও। ঘরে ছড়ানো হয় ব্লিচিং পাউডার। সাংসদের দেহাংশ ভরা হয় ট্রলিতে। দুই ধাপে সরানো হয় দেহাংশ।
আবাসনের মধ্যে খুন হলেন সাংসদ, অথচ কেউ টেরই পেল না? সিআইডি সূত্রে খবর, গত ১৩ মে নিউটাউনে আসেন আনোয়ারুল তার সঙ্গে ছিলেন ২ ব্যক্তি। সন্দেহভাজন দুজনের মধ্যে একজন আখতারুজ্জামান শাহিন। ১৩ মে, ফ্ল্যাটে ঢোকার পর টানা দেড়দিন দেখা যায়নি সাংসদকে। দেড়দিন পর বিকেলে ট্রলি হাতে বেরন শাহিন। পরে আরও কটি ব্যাগ হাতে বেরন আরও এক ব্যক্তি। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করেন শাহিন। সাংসদ খুনে আনা হয়েছিল ‘কসাই’ জিহাদকে। ২ মাস আগে থেকে চিনার পার্কে বাড়ি ভাড়া দিয়ে রাখা হয় জিহাদকে। সাংসদ খুনে আড়াই কোটির অগ্রিমও দেন শাহিনই।
সিআইডি স্ক্যানারে শাহিনের বান্ধবীও। সিআইডি কর্তাদের আরও দাবি, হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন সাংসদ। শিলাস্তি রহমান নামের এক মহিলাকে সামনে রেখে তাঁকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের ওই আবাসনে। নিহত সাংসদের দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছে, তাও জানেন সিলাস্ত্রি। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার ভাঙড় চষে ফেললেও হাতে কিছুই পাননি সিআইডি কর্তারা। পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে শুক্রবার রাতেই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবেন তদন্তকারীরা। শিলাস্তি রহমান ও অন্যান্য অভিযুক্তদের কলকাতায় এনেও জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।