Assembly House: ৫১ বছরের অপেক্ষার অবসান, দেশের প্রথম পেপারলেস বিধানসভা ভবন পেতে চলেছে অসম
হতে চলেছে ৫১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। অগস্টেই নিজস্ব নতুন বিধানসভা ভবন পেতে চলেছে অসম। কাজ প্রায় শেষের মুখে। দেশের মধ্যে প্রথম ই-বিধানসভা পেতে চলেছে অসম।
সালটা ১৯৭২। সেপ্টেম্বর মাস। অসমের রাজধানী শিলঙ থেকে সরানো হয় দিসপুরে। অসম বিধানসভার কাজ চালানোর জন্য তখন থেকেই অস্থায়ী ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয় দিসপুরের টি ওয়ারহাউসকে। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে সেখানেই বসে অসম বিধানসভার প্রথম বাজেট অধিবেশন। তখন থেকেই স্থায়ী বিধানসভা ভবনের অপেক্ষায় অসম। ৫১ বছর হয়ে গেল। এখনও অসমে নেই নিজস্ব বিধানসভা ভবন। তবে এবার হতে চলেছে সেই প্রতীক্ষার অবসান। নিজস্ব নতুন বিধানসভা পেতে চলেছে অসম। অগস্টেই দরজা খুলবে অসমের নতুন বিধানসভা ভবনের। সোমবার নতুন বিধানসভা ভবন ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এই নতুন বিধানসভা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০৯ সালে। চলার পথে আসে হাজারও বাধা। ঠিক হয়, জনতা ভবনের কাছে হবে এই নতুন বিধানসভা ভবন। টাকার অভাব, সঙ্গে কিছু আইনি বাধা। এগোয়নি কাজ। ২০১৭ সালে নির্দেশিকা জারি করেন অসম বিধানসভার তৎকালীন অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী। সেই নির্দেশিকার হাত ধরে ফের শুরু হয় নতুন বিধানসভা ভবন নির্মাণের কাজ। এখন কাজ প্রায় শেষ। এবার উদ্বোধনের পথে অসমের নতুন বিধানসভা ভবন। সোমবার নতুন ভবন ঘুরে শেষ মুহূর্তের কাজ তদারকি করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
১০ হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠেছে অসমের নতুন বিধানসভা ভবন। মূল ভবন দোতলা। পাশাপাশি আছে আরও দুটি বিল্ডিং। মূল ভবনের প্রথম তলে চলবে বিধানসভার অধিবেশন। সেখানেই আছে ১৮০ জন বিধায়কের বসার ব্যবস্থা। এখন অসমে বিধায়কের সংখ্যা ১২৬। পরবর্তী সময়ে বিধানসভার আসন বাড়লেও যাতে সমস্যা না হয়, সেই ভাবনা থেকেই গড়া হয়েছে এই অধিবেশন কক্ষ।
থাকছে বিধানসভার সচিবালয়। সেখানে বসবেন বিধানসভার ৫০০ কর্মী। থাকছে যথাযথ যাবতীয় বন্দোবস্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাইছেন, সব রাজ্যের সব বিধানসভা হোক ই-বিধানসভা। কোনও রাজ্যেই এখনও হয়নি তা। এমনকি সংসদেও না। তবে অসমের নতুন বিধানসভা ভবন হতে চলেছে পেপারলেস। ই-বিধানসভা। নিজস্ব বিধানসভা ভবন পেতে দেরি হলেও, ই-বিধানসভায় অসমই সবার আগে।