আসছে মহা অম্বুবাচী মেলা। ঘোষণা হল অম্বুবাচী মেলার দিন। মা কামাখ্যা ধামে শুরু হয়েছে অম্বুবাচী মেলার প্ৰস্তুতি। ২২ জুন থেকে কামাখ্যা মন্দিরে শুরু হবে অম্বুবাচী মেলা। অম্বুবাচীর প্ৰবৃত্তি হবে ২২ জুন সকাল ৮.৪৩ মিনিটে, নিবৃত্তি হবে ২৬ জুনে। অম্বুবাচীর ৩ দিন বন্ধ থাকবে কামাখ্যা মন্দিরের মূল দ্বার।
এবছর ২২ জুন শনিবার থেকে ২৬ জুন বুধবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে অম্বুবাচী মেলা। নীলাচলের বুকে দেশি বিদেশি ভক্তের সমাগমের জন্য প্রস্তুত মন্দির কতৃপক্ষ। অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত কামাখ্যা দেবী মন্দিরটিও ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছর অম্বুবাচীর সময় এই মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র অসমেই নয়, গোটা বিশ্বেই এই সময়কালটি খুব বিখ্যাত। এই মেলায় বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়। কামাখ্যা মন্দিরে আয়োজিত এই মেলার সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু অলৌকিক ও আকর্ষণীয় বিষয়।
এই সময়কালটিতে মন্দিরের দরজা তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকে। সাধারণত এদিন থেকে দেবীকে বিশেষভাবে যত্ন করে রাখা হয়। কারণ এই সময় দেবীকে অশুচি বলে মনে করা হয়। তাই প্রত্যেক দেবীর মন্দিরে কাপড় দিয়ে মাতৃবিগ্রহ ঢেকে রাখা হয়। এই সময় দেবীর নিত্যসেবাও দেওয়া হয় না। তিনদিন পর কামাখ্যা দেবীকে স্নান করে শুদ্ধ করে সাজিয়ে তোলা হয়। এরপরেই ভক্তদের জন্য দেবী দর্শনের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অম্বুবাচী মেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দুমতে, এই সময় দেবী কামাখ্যা ঋতুস্রাব অবস্থায় থাকেন। কথিত আছে যখন দেবীর ঋতুস্রাব শুরু হয় সেদিন থেকে গর্ভগৃহের দরজা নিজেই বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় ভিতরে গিয়ে দেবীর দর্শন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হয়।
প্রাচীন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দেবী সতীর যোনি কামাখ্যা মন্দিরে পড়েছিল আর সেই কারণেই দেবীর কোনও মূর্তি নেই। বরং এই মন্দিরে রয়েছে একটি কুণ্ড যেটি সর্বদা ফুল দিয়ে ঢাকা থাকে। অম্বুবাচীর সময়কালে দেবী কামাখ্যার মাসিক শুরু হয়। এই সময় কুণ্ডটি সাদা রঙের একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। মন্দির খোলার পর এই কাপড়টি লাল হয়ে যায়।