বিরোধীকে প্রশংসার মাশুল দিলেন কুণাল ঘোষ? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল। কিছুদিন আগেই, দলের মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। তারপরে অবশ্য সেই নরম-গরম বার্তা থেকে সুর নরম হয়েছিল এক কাপ চা ও ফিশফ্রাইয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল কই?
মঙ্গলবার, একটি রক্তদান শিবিরে একমঞ্চে পাশাপাশি দেখা যায় উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় ও কুণাল ঘোষকে। সেই মঞ্চ থেকেই তাপসের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তাপস ফুলবদল করে পদ্মগামী হয়েছেন। টিকিটও পেয়েছেন বিজেপির তরফে।
সূত্রপাত গত মার্চ মাস থেকে। লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী পদ ঘোষণা হতেই বেসুরো বাজতে শুরু করেন তাপস রায়। উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুদীপের বিরুদ্ধেই মাঠে নামেন তাপস। সুদীপের বিরুদ্ধে সেদিন সুর চড়িয়েছিলেন কুণালও। এমনকী, তখনই দলের মুখপাত্র ও রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন কুণাল। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো বদলে গিয়েছিল এক লহমায়। মুখপাত্রের বদলে জায়গা নিয়েছিল, ‘সাংবাদিক’, ‘মানুষের প্রতিনিধি’ তকমা।
তাপসের সঙ্গে সুদীপের ঠান্ডা যুদ্ধে প্রলেপ দিতেও দেখা গিয়েছিল কুণালকেই। পরে অবশ্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে চা-ফিশফ্রাই খেয়ে এসেছিলেন কুণাল। বলেছিলেন মান-অভিমান মিটে গিয়েছে। তারপর অবশ্য স্বমহিমায় এতদিন পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল কুণালকে।
বুধবার অবশেষে ছন্দপতন। কুণালের পদ থেকে অপসারণ নিয়ে নোটিস দিল তৃণমূল। সেই নোটিসে পরিষ্কার লেখা হয়েছে, ‘কুণাল ঘোষ আগেই মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করল দল। তাঁকে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তৃণমূল নেতা ও মুখপাত্র শান্তনু সেন যদিও বলেছেন, ‘দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য কেউ করলে তা শোভা পায় না। কুণালকে অপসারণের সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বের।’