ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যখন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, ঠিক তখনই বৃহস্পতিবার এক বড়সড় সামরিক মহড়ায় নামে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আক্রমণ’।
দেশের সেন্ট্রাল রিজিয়নে শুরু হওয়া এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে বায়ুসেনার শক্তিশালী যুদ্ধবিমান বহর। রাফাল ও সুখোই-৩০ এমকেআই স্কোয়াড্রন রয়েছে এই মহড়ার নেতৃত্বে। রাফালের দুটি স্কোয়াড্রন—আম্বালা ও হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
এছাড়াও পূর্বাঞ্চল থেকেও একাধিক যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম এই মহড়ার জন্য বিশেষভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
‘আক্রমণ’ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মিগ-২১, অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, AWACS (এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম), মিড-এয়ার রিফুয়েলার এবং বায়ুসেনার বিশেষ বাহিনী গরুড় কমান্ডোরা। এই মহড়ায় সমতল থেকে শুরু করে পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণের অনুশীলন চলছে, বাস্তব অভিযানকে মাথায় রেখেই পুরো অনুশীলন পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মহড়ার ঠিক আগে পাকিস্তান আরব সাগরে একটি নৌ মহড়া শুরু করে এবং ২৪ ও ২৫ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য জারি করে NOTAM (Notice to Airmen/Mariners)। একই সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনীও আরব সাগরে নিজেদের প্রস্তুতির বার্তা দেয়, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার INS Surat থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় একটি মিড-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (MR-SAM)। এই উৎক্ষেপণ ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।
Comments are closed.