নিউজ ডেস্ক, ১৩ এপ্রিল: রবিবার সকালে আবারও কেঁপে উঠল মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত ২৮ মার্চের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি সামলে ওঠার আগেই এদিন ফের এই ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে এদিনের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৫। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনমাত্রা ৫.৬।
রবিবার সকালে মধ্য মায়ানমারের ছোট শহর মেইকটিলার কাছে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমিভাগ থেকে ৩৫ কিলোমিটার গভীরে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, নতুন কম্পনের কারণে মায়ানমারে কোনও ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গত ২৮ মার্চ সকালে প্রথম বার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে অন্তত শ-খানেক বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। অন্তত তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। খোঁজ মেলেনি ৪০০-রও বেশি মানুষের। ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও।
মায়ানমারের আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, রবিবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্ডালয় থেকে ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে উন্ডউইন টাউনশিপ এলাকায়। ভূপৃষ্ট থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। যদিও মার্কিন ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ট থেকে ৭.৭ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। বেশকিছু বাড়ির ছাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Comments are closed.