এখনো আরজি করের ঘটনার রেস কাটেনি, এদিকে হাসপাতালের ভিতরেই দেদার মদ্যপান

0 27

পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরেই মদ্যপানের আসর। মদের আসরের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মদ্যপানের কথা স্বীকার করেছেন ঠিকা সংস্থার কর্মীরা। এই ঘটনায় হাসপাতালে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরজি করের ভয়াবহ ঘটনার পরেও কি টনক নড়েছে প্রশাসনের? মনে হয় না। যদি টনক নড়তো তাহলে পুরুলিয়া শহরে দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাম্পাসের মধ্যে বাথরুমের পাশের ঘরে বসতো না মদের আসর।

আরজি কর কাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরই মধ্যে সামনে এল আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। অভিযোগ, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরেই চলে দেদার মদ্যপান।রুমের পাশেই রয়েছে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য বাথরুম। সেই বাথরুমে মানুষ যাতায়াত করছেন। তার পাশের ঘরেই চলছে মদের আসর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেন সবই কিন্তু দায় সারা ভাব দেখিয়ে এড়িয়ে যান‌ ঘটনাটি। সদর হাসপাতালে এই চিত্র প্রমাণ করে দিচ্ছে আর জি করের নৃশংস ঘটনার পরেও ঘুম ভাঙেনি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের, টনক নড়েনি প্রশাসনের। গোটা হাসপাতাল জুড়ে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অসংখ্য পোস্টার রয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে এক প্রান্তে রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। যেখানে টিমটিমে আলোতে চিকিৎসক এবং নার্স রোগীর পরিষেবা দিচ্ছেন। বাইরে অপেক্ষায় রয়েছেন ভর্তি থাকা রোগীর পরিবারের লোকজন। কিন্তু কয়েক মিটার দূরে পুরুষ এবং মহিলাদের ব্যবহারের জন্য বাথরুমের ঠিক পাশেই চলছে মদের আড্ডা। যেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে তারাই আবার মদের আসর জমিয়ে বসেছেন। বাথরুমের পাশে সেই ঘরে সন্ধ্যা সাতটাতে মদের আসর বসিয়েছেন দু তিনজন ব্যক্তি। মাটিতে বসে সামনে গ্লাস পেতে চলছে মদের আসর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বীকার করে নিয়ে বলছেন অল্প একটু খেয়েছি।

এই ঘটনায় হাসপাতালে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের এমএসভিপি জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.