PANCHAYAT ELECTION : অসমের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পশ্চিমবঙ্গে!

11

PANCHAYAT ELECTION : অসমে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের প্রত্যক্ষ ঢেউ পশ্চিমবঙ্গে। আন্তঃরাজ্য সীমানা ছাড়িয়ে অসমের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের প্ৰচার চলছে পশ্চিমবঙ্গে! পশ্চিমবঙ্গের একটি অঞ্চলের অলিতে গলিতে, হাটে-বাজারে অসমের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের ব্যানার, পোস্টার।

অসমের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পশ্চিমবঙ্গে!
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার গ্রামে অসমের ভোটের ব্যানার, পোস্টার!
ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে অসমের রাজনৈতিক নেতারা!
কোচবিহারের ছাট ফলিমারি, জয়গুরু অঞ্চলে অসমের ভোটের প্রচার!

কিন্তু কেন অসমের নিৰ্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার? অসমের একাংশ বাসিন্দা গঙ্গাধর নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে ঘরছাড়া। বহু বছর ধরে তাঁরা আন্তঃরাজ্য সীমানা ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন। নদীর ভাঙনে তামারহাটের জোংবান্ধা, বাঘডোকরা গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। অসমে পুনর্বাসন না পেয়ে ৪০০ পরিবার পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছে।

অসমের ভোটার তাই পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারীরা। অসমের সমস্ত প্রকল্প থেকেও বাদ তারা। রাজ্যের বাইরে বলেই অসমের প্রকল্পগুলি পৌঁছয় না ভিটেহারাদের কাছে।

সব হারিয়ে এই হতভাগ্য মানুষগুলি কোনওক্রমে জীবন কাটাচ্ছে। তবে, নিৰ্বাচন বড় বালাই। তাই, নির্বাচন এলেই তাঁদের কাছে হাজির হয় সব রাজনৈতিক দল, হাজির হন রাজনৈতিক নেতারা। তামারহাটের কামানডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের জোংবান্ধা, বাঘডোকরা ভোট কেন্দ্ৰে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এই ভোটাররা।

নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে অসমের দুটি গ্রামের বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ছাট ফলিমারি গ্রামে এবং জয়গুরু গ্রামে অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা অসমের ভোটার বলেই অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার চলছে সেখানে। স্থানান্তরিত মানুষগুলি সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ভিটেমাটি হারা মানুষগুলির জন্য আজ পর্যন্ত অসম সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। শুধু অসমে নির্বাচনের সময় তাঁদের কাছে ভোট চাইতে যান রাজনৈতিক নেতারা।

Comments are closed.