ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনী উপত্যকায় সন্ত্রাস বিরোধী ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে। এই অভিযানেই এসেছে একটি বড় সাফল্য। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের সহায়তা করার অভিযোগে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। কুলগামে একটি যৌথ অভিযানে, যেখানে কুলগাম পুলিশ, সেনা এবং সিআরপিএফ অংশ নেয়, গ্রেফতার করা হয় দুই ব্যক্তিকে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কুলগামের কৌমহ এলাকার মতলহামা চক একালায় চলমান তল্লাশি অভিযানের মধ্যে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট ও মহম্মদ ইসমাইল ভাট, এবং দুজনেই ওই এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে সেনার পোশাক পরিহিত চার জঙ্গি নৃশংসভাবে পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়ে ২৫ জনকে হত্যা করে। হামলার আগে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে তাদের হত্যা করা হয়। তাদের বাঁচাতে গিয়ে এক স্থানীয় ঘোড়া চালকও প্রাণ হারান। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তইবা’এর শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, তবে পরবর্তীতে সংগঠনের কিছু সদস্য হামলার দায় অস্বীকার করে। তবে গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তানই এই হামলার পেছনে রয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, হামলার আগে ওই অঞ্চলে কয়েকবার রেইকি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এছাড়া, স্থানীয় কেউ এই হামলায় সাহায্য করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরের কুলগাম, বারামুলা এবং অন্যান্য এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ৫ জঙ্গির বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে এবং উত্তর কাশ্মীরের মুসতকাবাদের মাচিল এলাকায় পাইনের জঙ্গলে একটি জঙ্গি ঘাঁটির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি একে-৪৭ রাইফেল, ৮টি একে-৪৭ ম্যাগাজিন, ৬৬০ রাউন্ড গুলি, এবং ৫০ রাউন্ড এম-৪ রাইফেলের গুলি। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে।
Comments are closed.