প্রকাশ্যে এল কাশ্মীরের হামলাকারীদের ছবি

62

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল: মঙ্গলবার দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দাও। হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ওই রাতেই হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারালেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে দু’জন কলকাতার, আর একজন পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা।

এই বার প্রকাশ্যে এল ৪ হামলাকারীর ছবি, হারহিম করা এই ঘটনার পেছনে আছে তাদের হাত। তারা প্রথমে পর্যটকদের ঘিরে ফেএল এরপর পরিচয় জানতে চায়, জানতে চায় ধর্ম কী? এরপর তারা পুরুষদের পোষাকও খুলে পরীক্ষা করে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে পর্যটকদের।

ঘটনার পর দ্রুত পহেলগাঁওয়ে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সকালে তিনি নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে কাশ্মীর উপত্যকায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ।

২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের ঠিক পরেই আত্মপ্রকাশ করে টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট)। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম হয় কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদী শেখ সাজ্জাদ গুলের হাত ধরে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়েই লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে টিআরএফ। নিজের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু থেকেই লশকর, জৈশ-ই-মহম্মদ সহ একাধিক কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী থেকে সদস্য আনা হয় এই সংগঠনে।

টিআরএফ-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীর উপত্যকার স্থিতাবস্থা নষ্ট করা এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানো। সেই লক্ষ্যেই তারা নিজেদের কার্যপ্রণালী পুনর্গঠন করে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায় তারা।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, টিআরএফ-এর দ্রুত বিস্তার ও সক্রিয়তার পেছনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদত ছিল। এই সংগঠনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মাথায় রেখে ২০২৩ সালে কেন্দ্র সরকার টিআরএফ-কে ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

Comments are closed.